বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মাই টিভির স্টাফ রিপোর্টার আবু সাঈদ অপুর রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এ দিন ধার্য করেন।
Advertisement
আদালতে আজ (মঙ্গলবার) অপুর সাতদিনের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামি পক্ষের আইনজীবী ইলিয়াস রতন বাদীর উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য আবেদন করেন। পরে আদালত মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আগামী ১৯ মার্চ মামলার বাদীকে আদালতে উপস্থিত করার নির্দেশ দেন। এছাড়া অপুর পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদনেরও ওইদিন শুনানি হবে বলে জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহিদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত রোববার (১০ মার্চ) অপুকে গ্রেফতার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম।
Advertisement
স্বভাব চরিত্র ভালো না অপুররিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামি আবু সাঈদ অপুর স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। আসামি মামলার বাদীর পরিচিত। সেই পরিচয় সূত্রে চার বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা বসবাস করছেন। মামলার ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
মামলার বাদী রাজি না হওয়ায় সে মিডিয়া চ্যানেলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে হয়রানি ও মানসম্মান ক্ষুণ্ন করার হুমকি দেয়। গত ৬ মার্চ আসামিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মামলার আসল রহস্য উদঘাটনসহ মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। সেই লক্ষ্যে আসামিকে সাতদিনের পুলিশি রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন। আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে গেলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তসহ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উপরোক্ত কারণে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে আসামির সাতদিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
ঠান্ডা পানি আনার কথা বলে পালিয়ে যান অপুবাদী বলেন, আবু সাঈদ অপু আমার পূর্বপরিচিত। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্টে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চার বছর আমরা বসবাস করি। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতো অপু। আমি রাজি না হলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। একপর্যায়ে অপু বাসা থেকে চলে বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতে থাকে। চলতি মাসের ৬ তারিখ সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমার বাসায় আসে শিগগিরই বিয়ে করবে বলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মানসম্মানের ভয়ে কাউকে বিষয়টি বলেনি। ৯ মার্চ আমাকে বিয়ে করবে বলে তার বাসা থেকে রিকশাযোগে রামপুরা বাজারের কাছে আসে এবং একপর্যায়ে ঠান্ডা পানি আনার কথা বলে রিকশা থেকে নেমে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় ১০ মার্চ ভুক্তভুগি বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় এ মামলা করেন।
Advertisement
জেএ/আরএস/এমএস