হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারের মাধ্যমে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণ জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া শাহজালাল বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মশা নিধনে কেন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদী বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
Advertisement
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ।
পরে আইনজীবী তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি আমার দাদিকে নিয়ে টিকেট কেটে দর্শনার্থী হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করি। ওইদিন রাত ১০টার দিকে সেখানে অবস্থানকালে অনেক দেশি-বিদেশি বিমানযাত্রীকে মশার দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখি। শাহজালাল বিমানবন্দর দেশের সুনামকে প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতায় বিমানবন্দরের ভেতরে মশার তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এর পর মশা নিধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই।
তিনি আরও বলেন, নোটিশ পাওয়ার নির্দিষ্ট তিনদিনের মধ্যে বিমানবন্দরের ভেতর মশা নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ৩ মার্চ প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করি।
এফএইচ/এমএসএইচ/পিআর
Advertisement