জাতীয়

‘৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো নদী খননে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌপথ সৃষ্টি করা একটি চ্যালেঞ্জের কাজ। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জিডিপির হার ডাবল ডিজিটে উন্নীত করা হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, নৌপথ খননে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তরা এগিয়ে আসছে-এটি একটি ভালো দিক। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কশপ অন ড্রেজিং : অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে খুনিচক্র দেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো নদী খননে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি, তারা পরিকল্পিতভাবে নৌপথকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তারা কোনোক্রমে নামকাওয়াস্তে ড্রেজিং করেছে, ড্রেজিংয়ের নামে তখন দুর্নীতি হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার এ কথার গুরুত্ব উপলব্ধি করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন সময় এসেছে দেশের জন্য ভালো কিছু করার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে বর্তমান সময় ও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।’

ওয়ার্কশপে জানানো হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ৭টি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ দুটি এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি করে মোট ১১টি ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭৬ হাজার ঘনমিটার ড্রেজিং করা হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার ঘনমিটার ক্যাপিটাল ও সংরক্ষণ ড্রেজিং বাবদ ২৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, নৌসচিব মো. আবদুস সামাদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ভোলা নাথ দে। এইউএ/এসআর/এমকেএইচ

Advertisement