তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর আনাতোলিয়া। এই শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে ইভিলি মিনার মসজিদ স্থাপিত। এটি আলাদিন মসজিদ বা উলু মসজিদ নামেও পরিচিত। আট শত বছরের পুরনো ইসলামের সাক্ষ্য বহনকারী ইভিলি মসজিদের এ মিনারটি এখনো পুরোপুরি অক্ষত।
Advertisement
১২২০-৩০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান আলাদিন কায়কোবাদের আমলে ইভিলি মসজিদ নির্মানের সময় তৈরি করা হয় এ মিনটার। দীর্ঘ ৮শ’ বছরেও মিনারটির সে রকম কোনো ক্ষতি হয়নি।
তুরস্কের আনাতোলিয়া শহরের ইভিলি মিনারটি ইউনেস্কো ওয়াল্ড হেরিটেজ-এর অন্তর্ভূক্ত করতে ইউনেস্কোর আঞ্চলিক অফিসগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে ওয়াল্ড হেরিটেজে অন্তর্ভূক্তিতে তা তালিকাভুক্ত হয়।
এ মিনারটি আনাতোলিয়া শহরের এবং আনতালাস্পো ফুটবল দলের লোগো হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
Advertisement
ঐতিহাসিক এ মিনারটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। ফলে সারাবিশ্ব থেকে পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত থাকে ইভিলি মিনার চত্ত্বর।
ইভিলি মিনারের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্যগুলো ইরান ও তুর্কিস্তানের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
মিনারটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে এটি সংস্কার করা হয়। মিনারটির অবস্থান, বর্তমান অবস্থা, শৈল্পিক মূল্যয়ন ও কার্যকারিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই ইউনেস্কো এ মিনারটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ-এ অন্তর্ভূক্ত করতে ২০১৬ সালে তালিকা করে।
বিশ্ব দরবারে তুরস্কের আনাতোলিয়াকে পরিচিত করে তোলার জন্য ইভিলি মিনারটিই যথেষ্ট। ৩৮ মিটার উচ্চতার এ মিনারটি আনাতোলিয়ায় তুর্কি স্থাপত্যের অনন্য উদাহরণ।
Advertisement
ইভিলি মসজিদ মিনারটি সাড়ে ছয় মিটার ও সাড়ে ৫ মিটার বিশাল পাথরের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। মিনারটি লাল ও নীল রঙের আধা গোলাকার ঢেউয়ের বাহারি নকশায় বিশেষ সৌন্দর্য ফুটে ওঠেছে।
এমএমএস/এমকেএইচ