ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা ডিজিসিএ অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের প্রতিটি বিমানসংস্থাকে নিজেদের নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।
Advertisement
রোববার সকালে আদ্দিস আবাবার বোল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮ জন ক্রু-সহ ১৫৭ আরোহী নিয়ে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল ইথিওপিয়ার এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স ৮ বিমানটি। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে উড্ডয়নের ছয় মিনিট পর ৮টা ৪৪ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে আদ্দিস আবাবা থেকে ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বদিকের বিশোফতু শহরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ৩০টি দেশের নাগরিকসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন কর্মীও ছিলেন।
রোববার সকালে নাইরোবিগামী বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ বিমানটি উড্ডয়নের মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। এতে প্রাণ হারায় বিমানে থাকা ১৫৭ আরোহী। এদের মধ্যে চারজন ভারতীয় নাগরিকও ছিলেন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে।
Advertisement
এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল গত অক্টোবরে। ওই একই মডেলের একটি বিমান জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের পর বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ১৮৯ আরোহীর মৃত্যু হয়। ভারতীয় বিমানসংস্থার কাছেও বেশ কিছু বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের বিমান রয়েছে। ভারতের ডিজিসিএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বিমানগুলো এখন থেকে চালানোর ভার দিতে হবে এমন পাইলটদের যাদের ১০০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এই মুহূর্তে ভারতে এই ধরনের বিমান রয়েছে জেট এয়ারওয়েজ এবং স্পাইসজেটের কাছে। এনডিটিভিকে স্পাইস জেট জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তাদের কাছে থাকা ১৩ টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানই চালাচ্ছে তারা। অন্যদিকে, জেট এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচটি এমন বিমান তাদের কাছে থাকলেও এই মুহূর্তে কোনোটাই চালানো হচ্ছে না।
এর আগে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক ঊচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন যে, ভারতে থাকা বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ বিমানগুলোর ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে তারা ডিজিসিএর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
প্রসঙ্গত, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বিমানসংস্থা। গত বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ বিমান।
Advertisement
টিটিএন/এমকেএইচ