দেশজুড়ে

দুর্নীতির বেড়াজালে পেরে উঠছে না শিশুরা

ছাগলনাইয়া শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আফতাব উদ্দিনের দুর্নীতি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রদানের কার্যক্রম পুলিশের বাঁধায় পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে শিশু পরিবারের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ছাগলনাইয়া শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আফতাব উদ্দিনের দুর্নীতি ও পরিবারের সদস্যদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদফতরের মহা-পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি টের পেয়ে শনিবার বিকেলে আফতাব উদ্দিন পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘবদ্ধ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।সমাজসেবা অধিদফতরের মহা-পরিচালক বরাবর লিখিত স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, শিশু পরিবারে শিশুদের উপর নির্যাতন করে বা ছল ছুঁতো অযুহাত তুলে উপ-তত্ত্বাবধায়ক আফতাব উদ্দিন শিশুদের বহিষ্কার করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্যজনকে ভর্তি করান। ওই প্রতিষ্ঠানে ৫০ জন উপজাতিকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন বলে ওই স্মারকলিপিতে অভিযোগ করে তারা। এছাড়া ফান্ড নাই, বরাদ্দ নেই এমন নানা অযুহাতে শিশু পরিবারের শিক্ষার্থীদের সরকারি বইয়ের বাইরে গ্রামার ও ব্যাকরণ বই, শিক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয় না। তাদের দাবি, শিশু পরিবারের সদস্যদের বছরে দুইবার জামা কাপড় দেওয়া হলেও আফতাব উদ্দিনের নিয়োগর পর বিগত দুই বছরে মাত্র একবার পরিধেয় বস্ত্র পান তারা। বিগত দুই মাসে শিশুদের খাবারের মেনুতে গরুর মাংস থাকে না। তাদের দাবি, পরিবারের অন্যদের দেওয়া ছাগল বা ছাগলের মাংস ওই বরাদ্দ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে তারা অভিযোগ করেন, শিশুদের জন্য খাবার অনুপযোগি ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল কেনা হয়। শিশুদের অভিযোগ বিগত চার বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের বিছানার চাদর, বালিশ, লেপ, তোষক, থালা, বাটি, গ্লাস দেওয়া হচ্ছে না।এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আফতাব উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।বাঁধা প্রদানের কথা অস্বীকার করে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক রাশেদ খান চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।জহিরুল হক মিলু/এমজেড/এমআরআই

Advertisement