ডাকসু নির্বাচনকে আরেক ‘জাতীয় নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ডাকসু ইস্যুতে ছাত্রদের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সোমবার ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।
Advertisement
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সবার মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল। রাজনীতিতে নতুন একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে এই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মতোই হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো দেশের সব নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে দেশের মানুষ ভোট দেয়নি। নীরব প্রতিবাদ করেছে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। আগে তাকে বিএসএমএমইউ'তে এনে চিকিৎসা শেষ না করেই কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। তিনি আবার অসুস্থ হয়েছেন। তিনি (খালেদা) ও আমরা মনে করি তাকে অবিলম্বে নিজ ইচ্ছামতো চিকিৎসা দেয়া হোক। আইনগতভাবে তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য। আমরা তার মুক্তি চাই।
Advertisement
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, দেশজুড়ে এখনো ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে সেগুলোর প্রত্যাহার করে নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার আহ্বান জানাচ্ছি। সম্প্রতি সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাবে। আমরা গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানাই।
সুলতান মনসুর প্রসঙ্গ
৭ মার্চ জাতীয় সংসদে শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করা ঐক্যফ্রন্টের এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরামের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে সুলতান মনসুর শপথ নিয়ে তথাকথিত সংসদে বসেছেন। তিনি জাতির সাথে প্রতারণা করেছেন। তার তথাকথিত সংসদে যাওয়ার ঘটনাতে ঐক্যফ্রন্ট নিন্দা জানায়। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তিনি যেহেতু দল থেকে বহিষ্কৃত তাই সংসদ সদস্য হতে পারেন না।
বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্যের পক্ষে সবাই একমত। ঐক্যের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে হবে। কিছু লোক ব্যতীত ১৬ কোটি মানুষ এটাই চায়।
Advertisement
এআর/এসএইচএস/জেআইএম