আন্তর্জাতিক

ভাসান চরে রোহিঙ্গা সরানোর পরিকল্পনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া ২৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার পরকিল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি। আগামী এপ্রিলে প্রথম দফায় ওই ২৩ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সরকার।

Advertisement

সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক তদন্তকারী এ কর্মকর্তা বলেছেন, এই দ্বীপ মানুষের বসবাসের উপযোগী হতে পারে না। রোহিঙ্গাদের সেখানে সরিয়ে নেয়া হলে তা নতুন সঙ্কট তৈরি করতে পারে।

জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত (র্যাপোর্টিয়ার) মানবাধিবার কাউন্সিলকে বলেছেন, মানবিক ত্রাণ সহায়তার ঘাটতি ও সহিংসতার কারণে গত নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম নতুন করে রাখাইন ছেড়ে পালিয়েছেন।

আরও পড়ুন : বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিখার স্বজনরা কোথায়?

Advertisement

রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আখ্যা দেয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছেন লি। মিয়ানমারের নৃশংসতার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শুরুরর দাবিও জানান তিনি।

কিন্তু জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, মিয়ানমারে যা হচ্ছে তার বিচার করার এখতিয়ার হেগের আদালতের নেই।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানের মুখে প্রায় সাত লাখ ৪০ হাজার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এই রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

আরও পড়ুন : ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর শুরু

Advertisement

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে এক লাখ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের জন্য ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়।

প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পের আওতায় চরের ভূমি উন্নয়ন ও তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ-সহ এক হাজার ৪৪০টি ব্যারাক হাউস নির্মাণ করছে সরকার। এছাড়া ১২০টি শেল্টার স্টেশন, মসজিদ, দ্বীপটির নিরাপত্তার জন্য নৌ-বাহিনীর অফিস ভবন ও কর্মকর্তাদের বাসভবনও রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সড়ক, পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় থাকবে নলকূপ ও পুকুর।

সূত্র : রয়টার্স।

এসআইএস/পিআর