ভারতের জন্য এই হার হজম করা কষ্টকর। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে ৩৫৮ রান করেও পরাজয়, মেনে নেয়া তো কঠিনই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ভারতেরই মাটিতে এই রানও তাড়া করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশটন টার্নারের অতিমানবীয় এক ইনিংসে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারিরা।
Advertisement
সমস্যাটা বেঁধেছে অ্যাশটন টার্নারকে নিয়েই। ৪৩ বলে ৮৪ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলা অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটসম্যান ৪১ রানে থাকার সময় একবার আম্পায়ারের বদান্যতায় বেঁচে যান। ম্যাচ হারের পর যেটি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন 'ডিআরএস' সিস্টেমকেই।
ইনিংসের ৪৪তম ওভারের ঘটনা। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে কট বিহাইন্ডের আবেদন হয়েছিল টার্নারের বিপক্ষে। কিন্তু মাঠে দায়িত্বরত আম্পায়ার সেটি আউট দেননি।
পরে রিপ্লেতে দেখা যায ব্যাট আর বলের মধ্যে আসলেই ফাঁক ছিল। কিন্তু স্নিকোমিটার দেখায় অন্যরকম। স্নিকোতে দেখা যায়, বল যখন ব্যাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন কাঁটা দেখা যাচ্ছে (ব্যাট বলে সংযোগ হলে তেমন দেখায়)। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন।
Advertisement
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচের পরও কথা তুলেছেন কোহলি। পুরো ডিআরএস সিস্টেম নিয়েই অভিযোগ তার। ভারতীয় দলপতি বলেন, 'আমরা মাঠে কিছুটা অগোছালো ছিলাম। সুযোগ অবশ্যই কাজে লাগানো উচিত ছিল। তবে আমাদের সবার জন্যই ডিআরএসের কলটা বিস্ময়ের ছিল। প্রতি ম্যাচেই এটা নিয়ে কথা হচ্ছে। প্রযুক্তিটা একদমই ধারাবাহিক নয়। ওই মুহূর্তটা কিন্তু ম্যাচ ঘুরানো অবস্থায় ছিল।'
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে চার ম্যাচ যেতেই দুইবার ডিআরএস নিয়ে প্রশ্ন উঠলো। রাঁচিতে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অ্যারন ফিঞ্চের আউট নিয়েও বিতর্ক ছিল। ৯৩ রানে থাকার সময় কুলদ্বীপ যাদবের বলে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। ফিঞ্চ তাতে রিভিউ নেন। রিপ্লেতে দেখা যায় বল মিডল স্ট্যাম্পে পিচ করেছে, কিন্তু বল ট্রেকিং দেখায় অন্যরকম। সেটা দেখায়, বল লেগ স্ট্যাম্পে পিচ করে সেই স্ট্যাম্প হিট করেছে। অর্থাৎ ফিঞ্চ আউট।
এমএমআর/পিআর
Advertisement