ক্যাম্পাস

‘যে ভিসি ছাত্রলীগের সে ভিসি মানি না’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রদল।

Advertisement

সেখানে অবস্থান নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগা্ন দিচ্ছেন। ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না মানবো না’, ‘ব্যালট চুরির নির্বাচন ছাত্র সমাজ মানে না’, ‘যে ভিসি ছাত্রলীগের সে ভিসি মানি না’, ‘বাটপারির নির্বাচন ছাত্র সমাজ মানে না’, এ জাতীয় বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে তাদের।

এরআগে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মেস্তাফিজুর রহমান নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

পৃথক সংবাদ সম্মেলনে আরও চারটি প্যানেল থেকে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কয়েকজন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

Advertisement

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর আজ অনুষ্ঠিত হলো ‘দেশের মিনি পার্লামেন্ট’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল সংসদের নির্বাচন। সকাল ৮টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্বাচন ঘিরে উৎসবের আমেজ যেমন ছিল গেল কয়েকদিন, ছিল শঙ্কাও। সকাল ৮টায় আজ ভোট শুরুর পরপরই প্রথম সমস্যার খবর আসে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল থেকে। ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে সিল দেয়া এক বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধারের পর সেখানে যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু করা যায়নি।

পরে ধীরে ধীরে সুফিয়া কামাল হল, রোকেয়া হল থেকেও উত্তেজনার খবর আসে।

তবে সকাল জহুরুল হক হলের সামনে ভোটারদের লম্বা লাইনও দেখা গেছে।

এরইমধ্যে রোকেয়া হলের সামনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর উপস্থিতিতে মারধরের শিকার হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদপ্রার্থী নুরুল হক নুর।

Advertisement

এমএইচ/এনএফ/আরআইপি