নবাগত উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের। প্রথম পাওয়ারপ্লে'র দশ ওভারে মাত্র ২৭ রান করতে সক্ষম হয় তারা। অথচ ৫০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৫ রান, যা সম্ভব হয়েছে মূলত সাব্বির রহমানের ঝড়ে। মাত্র ৩৫ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি।
Advertisement
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৯ম ওভারে ওপেনার কুশল সিলভার উইকেট হারায় আবাহনী। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৯ রানের জুটি গড়েন প্রথম রাউন্ডের সেঞ্চুরিয়ান জহুরুল ইসলাম এবং তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত।
নিজের ফিফটি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতে আউট হন জহুরুল, ৮২ বলে ৩ চারের মারে করেন ৪৫ রান। জহুরুল আউট হলেও ফিফটি তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছিলেন শান্ত। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৯১ রানের জুটি।
ইনিংসের ৪১তম ওভারে আনিসুল ইসলামের নৈপুণ্যে রানআউটে কাঁটা পড়েন শান্ত। ৭ চারের সঙ্গে ২ ছক্কার মারে ৮৪ বলে ৮৩ রান করেন তিনি। শান্তর বিদায়ে উইকেটে আসেন সাব্বির। খানিক পরে সাজঘরে ফিরে যান ৬৫ বলে ৬৪ রান করা মোসাদ্দেকও।
Advertisement
এরপরের গল্পটা পুরোপুরি একা হাতে লিখেন সাব্বির। মোসাদ্দেকের আউটের সময় আবাহনীর সংগ্রহ ৪৪.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৩ রান। শেষের ৩২ বল থেকে আরও ৬২ রান করে আবাহনী, যার সিংহভাগ আসে সাব্বিরের ব্যাট থেকে।
মুখোমুখি ১৮তম বলে নিজের ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারিটি হাঁকান সাব্বির। এরপর তিনি খেলেন আরও ১৭টি ডেলিভারি, যার মধ্যে ৪টির ঠিকানা হয় সোজা গ্যালারিতে, ৩টি বল সীমানা ছাড়া হয় গড়িয়ে গড়িয়ে। মাত্র ৩০ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কার মারে নিজের লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের ১৬তম ফিফটি তুলে নেন সাব্বির।
শেষপর্যন্ত ৩৫ বলে ৪টি করে চার-ছক্কার মারে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৫ রানে থামে আবাহনীর ইনিংস। উত্তরার পক্ষে ৩ উইকেট নেন নাহিদ হাসান।
এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement