নীলফামারীর জলঢাকায় আশ্রিতকে মারতে বাঁধা দেওয়ায় প্রাণ দিতে হলো আব্দুল আজিজ (২৩) নামের এক যুবককে। শুক্রবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আব্দুল আজিজ। আজিজ জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের উত্তর পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের মহুবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শনিবার সকালে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ( মামলা নম্বর ১৪)।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে ওই গ্রামের আবু তালেবের সঙ্গে প্রতিবেশি মকর আলীর জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংর্ঘষ শুরু হয়। আবু তালেবের লোকজন মকর আলীর ছেলে তরিকুলকে হামলার জন্য ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে তরিকুল দৌড়ে প্রতিবেশি আব্দুল আজিজের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময় হামলাকারীরা আব্দুল আজিজের বাড়িতে ঢুকে তরিকুলকে মারতে গেলে আজিজ বাঁধা দেন। হামলাকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আজিজের ঘারে ও মাথায় আঘাত করেন। এলাকাবাসী আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আব্দুল আজিজকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে তিনি মারা যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলওয়ার হাসান ইনাম জাগো নিউজকে জানান, মকর আলীর সঙ্গে তালেবের জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ফজু ও মকর নামের আরও দুইজন জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার নিহতের ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/এমআরআই
Advertisement