ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকার সড়কে যানবাহন থামিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে হাইওয়ে পুলিশ। একই সঙ্গে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস ও বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে পুলিশ।
Advertisement
ভারী ও মাঝারি একাধিক যানবাহনের চালক জানিয়েছেন, বারবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশ ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ ও বারবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে গাড়ি তল্লাশির নামে মালবাহী ট্রাক ও মাইক্রোবাস থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে চালকদেরকে বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। প্রতি ভারী ও মাঝারি যান থেকে ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে হাইওয়ে থানা পুলিশ।
ট্রাকচালক রমজান আলী বলেন, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক এলাকায় নিয়মিত অবৈধ মালামাল ও কাগজপত্র দেখার নামে কাঁচামাল ও বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ট্রাক, পিকআপ থেকে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয় হাইওয়ে থানা পুলিশ। দীর্ঘদিন ২০০ টাকা করে পুলিশকে চাঁদা দিয়ে আসছি আমরা।
পুলিশকে কেন টাকা দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাকচালক রমজান আলী বলেন, টাকা না দিলে গাড়ি তল্লাশির নামে মালামাল নামানো ও মামলা দেয়া হয়। মামলা ও হয়রানির ভয়ে পুলিশকে চাঁদা দিয়ে ঝামেলামুক্ত থাকি আমরা। অনেক সময় পুলিশের চাহিদামতো চাঁদা দিতে না চাইলে হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়। নীরবে সহ্য করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমাদের।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বারবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশ ক্যাম্প থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিয়ে এসআই কালিপদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল প্রকাশ্যে বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা তুলছে।
সড়কে গাড়ি থামিয়ে কিসের চাঁদা তোলা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে পুলিশের এসআই কালিপদ কোনো উত্তর না দিয়ে পুলিশের পিকআপভ্যান নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে বারবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।
পরে মাদারীপুর হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
এএম/পিআর