দেশজুড়ে

ভোট কম পড়ায় নৌকায় সিল মারলেন দুই কর্মকর্তা

ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে এক পোলিং এজেন্টকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারলেন দুই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।

Advertisement

উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সুলতানগঞ্জ আল জামিয়াতুস সালাফিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত জাল ভোট দেয়ায় এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনয় কুমার।

এ ঘটনায় জড়িত দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ও মোহা আব্দুল মুকিত এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট মোহাম্মদ আলীকে আটক করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উপজেলার সুলতানগঞ্জ আল জামিয়াতুস সালাফিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন দুই হাজার ৩৮৪ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল অল্প।

Advertisement

কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি অল্প এবং কম ভোট পড়ায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এক পোলিং এজেন্টকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান আরও বলেন, খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তারা অভিযুক্তদের আটকের নির্দেশ দেন। তখনই তাদের আটক করে পুলিশ।

গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই তিনজনকে থানায় নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ পড়েনি। অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. বদিউজ্জামান (আনারস), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্সপার্টির সাইদুর রহমান (হাতুড়ি) ও জাতীয় পার্টির সালাহউদ্দিন বিশ্বাস (লাঙল)।

Advertisement

দুই লাখ ৩৮ হাজার ৪৩ ভোটারের এই উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ৯৮টি। তবে রোববারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/পিআর