‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আমি বুঝি না, ‘জয় বাংলা’ দলীয় স্লোগান কী করে হলো?
Advertisement
রোববার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান এ প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন করে আমরা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণা করেছি। ঠিক তেমনি সংবিধান সংশোধন করে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে জয় বাংলা বলে শেষ করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
Advertisement
সালমান এফ রহমান বলেন, জয় বাংলা আওয়ামী লীগ বা দলীয় কোনো স্লোগান নয়। জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান। আমরা জয় বাংলা স্লোগানের ওপরে ছাত্র আন্দোলন করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী জোর গলায় ‘জয় বাংলা’ বললে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বুক কাঁপতো।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, অনেক সময় সরকারি অনুষ্ঠানে দেখা যায়, সেখানে রাজনীতিবিদরা জয় বাংলা বলে শেষ করেন। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা ওই অনুষ্ঠানে জয় বাংলা বলেন না। জানতে চাইলে বলেন -আমরা তো সরকারি কর্মকর্তা, আমাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো নির্দলীয়। যদি জয় বাংলা বলি, দলীয় হয়ে যাব। যে দেশটি জয় বাংলা স্লোগানে স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার কারণে এসব কর্মকর্তারা এই অবস্থানে যেতে পেরেছেন। স্বাধীন না হলে এই পদে থাকতে পারতেন না। উনারা কী করে বলেন- দলীয় স্লোগান।
সংসদে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমি বুঝি না ‘জয় বাংলা’ দলীয় স্লোগান কী করে হলো? জয় বাংলা স্লোগানের ওপর আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। জয় বাংলা আমাদের দেশের স্লোগান, জাতীয় স্লোগান। রাষ্ট্রপতি তো জয় বাংলা বলে সংসদে তার ভাষণ শেষ করেছেন। তাহলে তিনি কী দলীয় হলে গেলেন? তিনি কী আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি? সারাদেশের রাষ্ট্রপতি নন? তিনি তো সারাদেশের রাষ্ট্রপতি।
Advertisement
সালমান এফ রহমান বলেন, কয়েকটি খবরের কাগজ আছে যারা বঙ্গবন্ধু শব্দটি ব্যবহার করে না। এমনটি একটি পত্রিকা রয়েছে, আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্যদের পরিবার হচ্ছেন তার মালিক। তারাও বঙ্গবন্ধু শব্দটি ব্যবহার করে না। শুধুই শেখ মুজিবুর রহমান লেখে, এটা খুবই দুঃখজনক।
নির্ধারিত ১৫ মিনিট আলোচনা শেষ করে ‘জয় বাংলা’ না বলেই বক্তব্য শেষ করেন সালমান এফ রহমান। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ও উপস্থিত সংসদ সদস্যরা হাসতে থাকেন।
এইউএ/আরএস/পিআর