টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির। সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে কথাও উঠে গিয়েছিল, ভারত কি তবে শুধুমাত্র কোহলির ব্যাটিং নির্ভর দল?
Advertisement
চন্ডিগড়ের পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে ভারত দেখিয়ে দিলো তারা শুধুমাত্র কোহলি নির্ভর নয়। কোহলি রান না করলেও পাহাড় সমান স্কোর গড়তে পারে ভারতীয়রা। আজ কোহলির ব্যাট কথাই বলেনি। মাত্র ৭ রান করে আউট হয়ে গেছেন তিনি। তবুও ৫০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর গিয়ে দাঁড়াল ৩৫৮ রানে।
সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে থেমে যেতে হয়েছে রোহিত শর্মাকেও। মূলতঃ দুই ওপেনারের ব্যাটেই আজ নাকের পানি-চোখের পানি এক করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের।
১৪৩ রান করে আউট হয়েছেন শিখর ধাওয়ান। রোহিত শর্মার রান ৯৫। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তিনি। ৩১ ওভারে ১৯৩ রানের বিশাল জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হয় ভারতের ওপেনিং জুটি। এই জুটির ওপর দাঁড়িয়েই মূলতঃ ভারত পাহাড় সমান স্কোর গড়তে সক্ষম হয়।
Advertisement
বিরাট কোহলিকে কিভাবে আটকাতে হবে সে মন্ত্র ম্যাচ শুরুর আগেই দিয়েছিলেন অসি কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। তার সেই মন্ত্রবলেই হয়তো জিয়ে রিচার্ডসন কোহলিকে মাত্র ৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরাতে সক্ষম হন। কিন্তু কোহলি মাঠে নামার আগেই যা ঘটানোর ঘটিয়ে দিয়েছেন রোহিত আর শিখর ধাওয়ান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত আর ধাওয়ানের ব্যাটে ১৯৩ রানের জুটি গড়ে উঠলো। ৯২ বলে ৯৫ রান করে রিচার্ডসনের বলে আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা। লোকেশ রাহুল ব্যাট করতে নামেন তিন নম্বরে। ৩১ বলে ২৬ রান করেন তিনি। ধোনিকে বিশ্রাম দেয়ার কারণে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন কোহলি। কিন্তু তিনি আজ ব্যর্থ হলেন এই পজিশনে।
২৪ বলে ৩৬ রান করেন রিশাভ পান্ত। কেদার যাদব ১২ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে যান। বিজয় শঙ্কর ১৫ বলে করেন ২৬ রান। পরের দিকে ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেনি। ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, কিংবা ইয়ুজবেন্দ্র চাহালরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫৮ রান করতে সক্ষম হয় ভারত।
প্যাট কামিন্স ক্যারিয়ারে প্রথম বারেরমত নিলেন ৫ উইকটে। ১০ ওভারে ৭০ রান খরচা দিতে হয় তাকে। জিয়ে রিচার্ডসন নেন ৩ উইকেট, ১ উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।
Advertisement
আইএইচএস/পিআর