গাছের নতুন জাত উদ্ভাবন ও স্থানীয় জনপ্রিয় জাতগুলোকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল-২০১৯’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলটিতে কৃষিক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব অধিকার সুরক্ষার বিষয়টিতেও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্যায়নের প্রেক্ষাপটে এই বিলটি আনা হয়েছে।
Advertisement
রোববার জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বিলটি উত্থাপন করেন। পরে তা ৪৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ এবং কৃষক ও প্রজননবিদদের অধিকার রক্ষায় ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সরকার নিয়োগ করবে। উদ্ভিদের গণ ও প্রজাতি নির্ধারণও এই কর্তৃপক্ষের কাজ হবে।
বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ প্রজননবিদ বা কৃষকের উদ্ভাবিত জাত ‘সংরক্ষিত জাত’ হিসেবে নিবন্ধন করবে। বিলে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সম্প্রদায় বা সংস্থার অনুকূলে ‘স্বীকৃতিসনদ’ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
Advertisement
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ দেশে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক যাই হোক না কেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে গবেষণা অনুদান বা আর্থিক পুরস্কার দিতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংরক্ষিত জাতের মিথ্যা নাম দিলে বা নিবন্ধিত কোনো জাতের বাণিজ্যিক ব্যবহারের সময় স্বেচ্ছায় কোনো দেশ বা স্থান, প্রজননবিদ তার ঠিকানাসংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করলে দুই ব্ছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।’
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নতুন উদ্ভাবিত জাতের অধিকার সুরক্ষার জন্য আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, চীন, কোরিয়াসহ বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আইন কার্যকর রয়েছে।
বাংলাদেশেও উদ্ভিদের গবেষণা, জাতের উন্নয়ন, বীজ উৎপাদন, ব্যবহার, বিতরণ, বিপণন, রফতানি, প্রজনন ও জাত সংরক্ষণের সুফল কৃষকদের কাছে কার্যকরভাবে পৌঁছে দেয়ার জন্য উৎসাহ, নির্দেশনা ও সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন।
Advertisement
এইচএস/বিএ/জেআইএম