ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্র সমাজে রাজনীতির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
রোববার (১০ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, সোমবার (১১ মার্চ) ডাকসু নির্বাচন। এ নির্বাচনে ছাত্রদল অংশ নিয়েছে। এটাকে স্বাগত জানাই। কোন দল জিতবে সেটা পরের বিবেচ্য বিষয়। কারণ ২৮ বছর ডাকসু নির্বাচন হয়নি, আমাদের দেশে যে রাজনীতিবিদ গড়ার কারখানা তা বন্ধ ছিল। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্র সমাজে রাজনীতির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এটা চালু থাকলে দেশের জন্য ভালো হবে।
দলের নেতাকর্মীদের মামলা হামলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, গায়েবি মামলা কেউ দেখেছে বা শুনেছে বলে জানা নেই। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ৯৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আসামির সংখ্যা ইংরেজিতে বলতে গেলে বলতে হয় ২.৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ২৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
Advertisement
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেয়া হলো। নিম্ন আদালতের সেই সাজাকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হলো। তিনি এখন অত্যন্ত অসুস্থ। বসতে পারেন না। তাকে বিছানা থেকে তুলতে একজন সাহায্যকারী দরকার হয়। এটা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এখন আমাদের একটাই দায়িত্ব বেগম জিয়াকে মুক্ত করা এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় আমরা বলেছিলাম একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা হোক, কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের একেবারে পোষ্যদের নিয়ে এ কমিশন গঠন করেছে। তারা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনে তারা যা করেছে সেটা নজিরবিহীন। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণের এখন নির্বাচনের প্রতি আস্থা নেই। ফলে সিটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। উপজেলা নির্বাচনেও জনগণের আগ্রহ নেই।
সরকারের মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, তারা ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান করছে, কিন্তু যিনি ইয়াবা সম্রাট তিনি দলীয় দায়িত্বে।
Advertisement
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন জসীম, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সদস্য জিয়াউল হায়দার পলাশ, এসকে সাদি, নাসির হায়দার, মাইনুল ইসলাম, মো. আলিম হোসেন, সেলিম হোসেন, মিয়া মো. আনোয়ার, বায়জিদ বোস্তামী, কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এএইচ/জেআইএম