পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী জায়েদ মোহাম্মদ গোলাম ফারুককে মারধর করে তার মনোনয়নপত্র কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
ভুক্তভোগী গোলাম ফারুকের বাড়ি উপজেলার জয়পুর গ্রামে। চতুর্থ ধাপে ৪ মার্চ মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া দিতে গিয়ে এই হামলার শিকার হন বলে দাবি করেছেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং মনোয়নপত্র জমা নেয়ার জন্য রোববার (১০ মার্চ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দিয়েছেন তিনি।
সিইসিকে দেয়া চিঠিতে গোলাম ফারুক অভিযোগ করেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের লোকজন আমার গতিবিধি অনুসরণ করে আসছিল।’
Advertisement
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ৪ মার্চ মনোনয়নপত্র পূরণ এবং এফিডাভিট ছাড়া সব কাজ শেষ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য আমার গ্রামের বাড়ি থেকে একটি ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে ফেনী আইনজীবী সমিতি ভবনের উদ্দেশে রওনা হই। অনুমানিক দুপুর ১২টার সময় আইনজীবী বারের কাছে মেইন সড়কের পাশে একজন আইনজীবীর চেম্বারে প্রবেশ করি। সেখানে থাকা লোকের কথা অনুযায়ী নোটারি ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য বের হয়ে মেইন রোডে ওঠামাত্র ৫ থেকে ৭ জন লোক আমাকে ঘিরে ফেলে এবং কিলঘুষি মারতে থাকে। তাদের সঙ্গে যেতে বলে। আমি রাজি না হলে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এতে আমার পুরো শরীর, বিশেষ করে ডান হাত ও পায়ে মারাত্ম আঘাত পাই।’
তিনি বলেন, ‘তারা মনোনয়নপত্র কোথায়, মনোনয়নপত্র কোথায়? বলতে বলতে আমার হাতে থাকা ব্রিফকেস নিয়ে যায়। সেখানে আমার মনোনয়নপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজ, চেক বই, আইডি কার্ড, শিক্ষা সনদ, নগদ ৪২ হাজার টাকা ছিল।’
গোলাম ফারুক বলেন, ‘পরে আমি ভাড়া করা গাড়িতে করে নিরাপদ জায়গায় চলে যাই এবং ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। রাতে ফেনী মডেল থানায় এজাহার দাখিল করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়নি। ফলে আমি মনোনয়নপত্রটি দাখিলের শেষ দিন ৪ মার্চ দাখিল করতে পারি নাই।’
পিডি/এমবিআর/জেআইএম
Advertisement