মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে জঙ্গি হামলায় দেশটির পুলিশের অন্তত ৯ সদস্য নিহত হয়েছে। জাতিগত ও ধর্মীয় উত্তেজনা, সহিংসতায় বিধ্বস্ত রাখাইনে শনিবার মধ্যরাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানের মুখে সাত লাখ ৪০ হাজারের বেশি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা রাখাইনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
কিন্তু বর্তমানে রাখাইনে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছিল এই বৌদ্ধরাই।
আরও পড়ুন : বিমান চালানোর সময় পর্ন দেখায় ভারতীয় পাইলট যুক্তরাষ্ট্রে আটক!
Advertisement
রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর অধিকতর স্বায়ত্ত্বশাসন ও অধিকারের দাবিতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে বৌদ্ধ বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
শনিবার ভোরের দিকে রাখাইনের রাজধানী সিত্তে থেকে এক ঘণ্টা পথের দূরত্বে অবস্থিত ইয়োতায়োকি গ্রামে পুলিশের ওপর হামলা হয়। ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপি প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ইয়োতায়োকি পুলিশ স্টেশনে ভেতরে মাটিতে মরদেহ ঢেকে রাখা হয়েছে। পাশে জমাটবাধা রক্ত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশটির পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত, একজন আহত ও আরো একজন নিখোঁজ রয়েছেন। পুলিশের ফাঁস হওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ স্টেশন থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার পর ওই হামলা হয়।
আরও পড়ুন : কমলা থেকে সাপের বিষের প্রতিষেধক
Advertisement
মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতি বলছে, তারা পুলিশের একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে। এতে দেখা যায়, আরাকান আর্মির প্রায় ১০০ জন ওই পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বরত সবাইকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।
কিন্তু পুলিশ তাদের এই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করলে গোলাগুলি শুরু হয়। পুলিশ স্টেশন থেকে সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় আরাকান আর্মি। সূত্র : এএফপি, দ্য ইরাবতি।
এসআইএস/এমএস