জাতীয়

ডিসেম্বরের মধ্যেই বসবাস উপযোগী হবে পূর্বাচল নতুন শহর

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প বসবাস উপযোগী হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান।

Advertisement

শনিবার বিকেলে পূর্বাচল নতুন শহর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রকল্প সংক্রান্ত এক অগ্রগতি সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, প্রকল্প এলাকায় রাস্তার কাজ শেষ হবে চলতি মাসের মধ্যেই। এ অবস্থায় কোনো ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও কাজের মেয়াদ বাড়ানো হবে না। তবে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৫০ কিলোমিটার রাস্তা এবং ১৫টি ব্রিজ নির্মাণের কাজ কিছুটা বাকি আছে, তারা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলবে। সেই সঙ্গে লেক তৈরির কাজের জন্য যেহেতু মৌসুমের ওপর নির্ভর করতে হয় তাই লেক তৈরির কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে।

তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকায় পানি এবং বিদ্যুৎ নিয়ে আর তেমন কোনো ঝামেলা নেই। এ ছাড়া অতিরিক্ত বিদ্যুৎতের খুটি বসানো হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ নকশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে একটা সমস্যা আছে, বারবার আবেদন জানানোর পরও পুলিশের থানা দেয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত থানা এবং পুলিশ লাইন স্থাপন করা হলে সাধারণ মানুষ বসবাস এবং প্লটের কাজ শুরু করতে পারবেন।

Advertisement

সভায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে অগ্রগতি চিত্র তুলে ধরেন।

সভায় অংশ নিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সকলের কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। ধীরগতিতে কাজ করে কোনো সমস্যা বাঁধিয়ে রাখলে তা সহ্য করা হবে না। ব্যক্তি পর্যায়ের ধীর গতির জন্য প্রকল্প সংক্রান্ত কোনো দুর্নাম আমরা নিতে পারবো না।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পরবর্তিতে পরিদর্শনে এসে যেন কাজের আরও গতি দেখতে পাই সেভাবে আপনারা কাজ করবেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে যেন দেরি না হয়, সেকারণেই মাঠে নেমেছি। কোনো অবস্থাতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।

এর আগে শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের বিভিন্ন স্পট, ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্পের অগ্রগতি ও উন্নয়ন কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন গণপূর্তমন্ত্রী।

Advertisement

এসময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের উভয় প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএস/এমবিআর/এমকেএইচ