খেলাধুলা

রকিবুলের লড়াকু ইনিংসে ভয় কাটিয়ে জয় মোহামেডানের

দুই বছর আগে এই বিকেএসপিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি আবাহনীর বিপক্ষে ১৯০ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেও বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পারেননি রকিবুল হাসান। দুই বছর পর সেই বিকেএসপিতেই খেললেন ৮২ রানের সংগ্রামী ইনিংস, ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে লড়াই করলেন সাহসী নাবিকের মতো। গাজী গ্রুপের বিপক্ষে অধিনায়ক রকিবুল ত্রাণকর্তা মোহামেডানের।

Advertisement

উঠা নামা আর উত্থান পতনের পালা শেষে মোহামেডানের ৩ উইকেটে জয়ের নায়ক এই রকিবুল। গাজী গ্রুপের ১৮৩ রানের ছোট টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে হারতে বসেছিল মোহামেডান। ৫১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল দলটি। সেখান থেকে রকিবুলের ৮২ রানের হার না মানা ইনিংসে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে সাদা কালোরা।

ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডানের মতোই শুরুতে বড় বিপদে পড়েছিল গাজী গ্রুপ। তাদের বিপদটা ছিল আরও বেশি। ২৬ রানের মধ্যে ইমরুল কায়েসের দল হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের কেউই দশের ঘর পেরুতে পারেননি।

সেখান থেকে সপ্তম উইকেটে ১০১ রানের মান বাঁচানো জুটি তৌহিদ তারেক আর শামসুল ইসলামের। থিতু হয়ে যাওয়া এই জুটিটি ভাঙেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৭০ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫৬ রান করে সোহাগ গাজীর ক্যাচ হন তৌহিদ তারেক।

Advertisement

এরপর আবু হায়দারকে নিয়ে ৫১ রানের আরেকটি জুটি শামসুল ইসলামের। আবু হায়দার ২৬ রান করে সোহাগ গাজীর শিকার হন। তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন গাজী গ্রুপের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শামসুল। ১১১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৭১ রানের ধৈর্য্যশীল এক ইনিংস খেলেন তিনি। ২৮ বল বাকি থাকতে ১৮২ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ।

মোহামেডানের পেসার শফিউল ইসলাম এদিন বল হাতে রীতিমত ঝড় তুলেছেন। ৩২ রান খরচায় তার শিকার ৫ উইকেট। ২টি উইকেট নেন সোহাগ গাজী।

১৮৩ রানের ছোট লক্ষ্য। কিন্তু মোহামেডান টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ। ১৩ রান করে ফেরেন ওপেনার আবদুল মজিদ। আরেক ওপেনার অভিষেক মিত্র করেন ২৪। তিন নাম্বারে নেমে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন মোহাম্মদ আশরাফুল।

এরপর ইরফান শুক্কুর (০), নাদিফ চৌধুরী (১) আর বিপুল শর্মা (৯) ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় মোহামেডান। তবে এক প্রান্তে অবিচল ছিলেন রকিবুল।

Advertisement

সোহাগ গাজীকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৪৯ আর অষ্টম উইকেটে আলাউদ্দিন বাবুর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রানের জুটিতে কঠিন পরিস্থিতি সামলে নেন রকিবুল।

সোহাগ গাজী ২৯ আর আলাউদ্দিন বাবু করেন ১৪ রান। আর ১২৪ বলে ৬ বাউন্ডারি, ১ ছক্কায় মোহামেডান দলপতি রকিবুল ৮২ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।

গাজী গ্রুপের রুয়েল মিয়া আর কামরুল ইসলাম রাব্বী নেন ২টি করে উইকেট।

এমএমআর/এমকেএইচ