জাতীয়

পিতৃকালীন ছুটি পুরুষকে আরও দায়িত্বশীল করবে

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়াতে পুরুষকে এগিয়ে আসতে হবে, সন্তান লালন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজে নারীর পাশে থাকতে হবে, এজন্য পিতৃকালীন ছুটি চালু করাও জরুরি যাতে করে তারা অনুধাবন করতে পারেন সন্তান পালন শুধু নারীর কাজ নয়।

Advertisement

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে উইমেন ইন লিডারশিপ (উইল) আয়োজিত চতুর্থ উইেমন লিডারশিপ সামিটে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন এসব কথা বলেন।

এবারের সামিটের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- নারীর কর্তৃত্ব ও দৃশ্যমানতা অর্জনে সৃজনশীল নেতৃত্ব ও বৈচিত্র্যতা।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, শিক্ষাই নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রধান উপায়। শিক্ষা নারীদের কর্মমুখী হতে শেখায়। তবে সমাজের সবাইকে নারীদের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।

Advertisement

নরওয়েতে প্রায় চার মাস পিতৃকালীন ছুটি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে পুরুষরা পরিবারের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে উইমেন ইন লিডারশিপ’র প্রেসিডেন্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, নারীরা তাদের সকল কাজে স্বভাবতই বৈচিত্র্যের অধিকারী। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য লাভের ক্ষেত্রে তাদের এ গুণকে কৌশলের সাথে কাজে লাগাতে হবে। বতর্মানে নারীদের নির্ভীক হয়ে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে উদ্যমী হতে হবে। তাদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য তাদের সকল বাধা অতিক্রম করতে হবে। আর স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য তাদের অবশ্যই সবল মনের পরিচয় রাখতে হবে।

২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সামিটটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হয়ে আসছে। সামিটের পাশাপাশি আয়োজিত হয়ে থাকে ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড, যার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল এবং নেতৃস্থানীয় নারীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়ে থাকে।

সামিটটিতে ছিল দুইটি কিনোট সেশন, ৫টি প্যানেল ডিসকাশন, ৩টি ইনসাইট সেশন এবং ২টি ব্রেকআউট সেশন। যার মাধ্যমে নারী পুরুষ সমতা, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্যানেল ডিসকাসের বিষয়বস্তু ছিল- সমষ্টিগতভাবে বাধাবিপত্তি অতিক্রম, সৃজনশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের উত্কর্ষতা সাধন, নারী নেতৃত্বের মাধ্যমে সামাজিক, রাজনৈতিক কাঠামোকে প্রভাবিত করা, মিডিয়ার পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন এবং ভবিষ্যৎ নারী সিইও তৈরি করা। ইনসাইট সেশনগুলোতে ইএমকে সেন্টারে তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততা, গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ক আলোচনা এবং নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির ক্ষেত্রে আলোকপাত করা হয়। এছাড়াও যৌন হয়রানি বিষয়ক প্রণীত নিয়মনীতি সম্পর্কে ব্রেকআউট সেশন পরিচালনা করে ব্র্যাক।

Advertisement

সামিটে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২৬জন অভিজ্ঞ প্রফেশনাল। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেপালের ব্যবস্থাপনা পরামর্শক ও নির্বাহী কোচ সুমনা শ্রেষ্ঠ এবং ঢাকায় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন।

জেপি/এমবিআর/এমকেএইচ