কয়েক বছর আগেও এ দেশের মিডিয়ায় তিনি ছিলেন পরিচিত এবং ব্যস্ততম মুখ। ছোটপর্দায় তার বিজ্ঞাপন এবং নাটকগুলো ছিল বেশ দর্শক নন্দিত। বলছি মডেল অভিনেত্রী মোনালিসার কথা। যার নামের আগে জনপ্রিয়তার তকমা লেগেছিলো অনেক আগে। কিন্তু বিধি বাম! সময়ের ফেরে নিউইয়র্কের কুইন্স মলে ম্যাকের স্টোরে গেল বছরের অক্টোবর থেকে সেলস গার্ল হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই তারকা। পাশাপাশি একটি এয়ারলাইন্সের টিকিট কাউন্টারেও মোনালিসা টিকেট বিক্রির কাজ করেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং মোনালিসার ঘনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে এসব তথ্যই বিগত কয়েক মাস ধরে উড়ে বেড়াচ্ছে শোবিজের বাতাসে। নতুন খবর হচ্ছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে মোনালিসা নাকি আর দেশে ফিরবেন না। তিনি নিউইয়র্কেই বাকি জীবন কাটাবেন। এমন খবরটি মোনালিসার চোখ এড়াতে পারেনি। শুধু কি তাই? এমন খবরে প্রকাশে বেশ চটেছেন তিনি।বিষয়টি নিয়ে মোনালিসা তার সামাকিজ যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে শনিবার দুপুরে (বাংলাদেশ সময়) ক্ষুব্ধ হয়ে একটি স্ট্যাটাসও দেন। তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ফেসবুকে এই মুহূর্তে মিডিয়া তারকাদের কিছু পেলেই বিকৃত রকমের একটা চর্চার চল শুরু হয়েছে। সে স্রোতে নতুন কিছু অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুক পেজ আছে। এরা সবসময় বিকৃত মানসিকতার খবর আর অসত্য রুচিহীন শিরোনাম করে তাদের মাতিয়ে রাখেন। দর্শক টানার জন্য নষ্ট আমন্ত্রণ দেয়া এসব পোর্টাল কিংবা পেজের কারণেই অনেকে এসব ভুয়া ও বিকৃত খবর বিশ্বাস করে বসেন, আর বিকৃত আচরণ প্রকাশ করেন। ধর্মীয় মতে কিংবা সামাজিক চোখে পরচর্চা, গীবত, হিংসা, ব্যক্তিগত আক্রমণ কিংবা মিথ্যা সবক’টিই অন্যায়।’তবে, অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, মোনালিসার প্রবাস জীবন ও চাকরি নিয়ে যা কিছু নিউজ প্রকাশ পেয়েছে তার বেশিরভাগই কাগজী পত্রিকায়। প্রসঙ্গত, মডেলিং ও অভিনয় ক্যারিয়ারের পড়ন্ত সময়ে সঙ্গীত শিল্পী ও কম্পোজার হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে মোনালিসার সম্পর্কের বিষয়টি ব্যাপকভাবে চাউর হয়। কিন্তু সে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত পরিণতি পায়নি। এরপর অনেকটা হুট করেই ফাইয়াজ শরীফ ফাসবীর নামে এক প্রবাসীকে বিয়ে করে নিউইয়র্কে পাড়ি দেন মোনালিসা। কিন্তু সে বিয়েও টিকেনি তার। স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বর্তমানে একাই থাকছেন মোনালিসা।এনই/এলএ/আরআইপি
Advertisement