জাতীয়

দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছি : পূর্তমন্ত্রী

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে যেন দেরি না হয় সে জন্যই মাঠে নেমেছি। কোনো অবস্থাতেই প্রকল্পের মেয়াদ, ব্যয় বাড়ানো যাবে না। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’

Advertisement

তিনি জানান, পূর্বাচলের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা ছিল। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে আমাদের কাজ এগিয়ে চলছে। আশা করা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্বাচলে বসবাস নিশ্চিত করা যাবে।

শনিবার পূর্বাচলে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি, কাজের মান, উন্নয়ন কাজ সরেজমিন পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন গণপূর্তমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- হঠাৎ পূর্বাচল প্রকল্প পরিদর্শনে মন্ত্রী

Advertisement

তিনি বলেন, ‘পূর্বাচলে জমি মালিকদের বিভিন্ন বাধার কারণে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল। বর্তমানে সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমরা এলাকাবাসীকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে এ উন্নয়ন প্রকল্প এলাকবাসীর জন্য কতটা উপকারী। আমরা এখানে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এখানে বসবাসের উপযোগী হবে। সেই সঙ্গে ২০২১ সালের মধ্যে পুরোপুরি কাজ শেষ হবে এবং পরিপূর্ণভাবে বসবাসের উপযোগী আধুনিক শহর হবে পূর্বাচল।’

পূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজউকসহ অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে জনবান্ধব করতে এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীরও এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। পূর্বাচলসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। কোনো প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। পূর্বাচলে যারা জমি দিতে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন সবাইকে জমির তিনগুণ বেশি দাম দেয়া হচ্ছে।’

বস্তিবাসী, নিম্নবিত্তসহ সবার জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

সকাল থেকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প ও ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্পের অগ্রগতি, উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে হঠাৎ আসেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।

Advertisement

প্রকল্প পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও রাজউকের উভয় প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

এএস/এনডিএস/এমএস