আঙুল ফোটাতে ভালোই লাগে! হোক তা স্বাভাবিকভাবে কিংবা মজা করে। অনেক সময় ছোটরা আঙুল ফোটানো নিয়ে প্রতিযোগিতাও করে থাকে। তাই আঙুল ফোটানো আমাদের সবার পরিচিত একটি অভ্যাস।
Advertisement
শুধু যে আঙুল ফোটালেই শব্দ হয় তা কিন্তু নয়। এছাড়াও বিভিন্ন কাজ-কর্ম করার সময়, চলাফেরা করার সময়, ব্যায়াম করার সময় বা নামাজ পড়ার সময় প্রায়শ অনিচ্ছাকৃতভাবে কনুই, হাঁটু, গোড়ালি সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগে শব্দ হয়।
অনেকের ধারণা আঙুল মোচড়ানোর সময় হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে বুঝি শব্দ হয়। ব্যাপারটা সে রকম নয়। সেখানে আসলে হাড়ের মধ্যে ঘষা লাগে না।
আমরা যখন আঙুল ফোটাই, আঙুলগুলোকে সাধারণত এমন পরিমাণ বেন্ডিং করি, যেটা সাধারণভাবে আঙুলের পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের জয়েন্টগুলোর চারপাশে একধরনের ফ্লুইড থাকে, যেটাকে বলা হয় - সাইনোভিয়াল ফ্লুইড।
Advertisement
যখন আমরা আঙুল গুলোকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সরিয়ে আনি, এই ফ্লুইডে একধরনের ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয় এবং একটা বাবল তৈরি হয়, যেটা একদম সাথে সাথেই ভেঙে যায়। এই বাবল ফাটার শব্দটাই হচ্ছে, আঙুল ফোটানোর শব্দের উৎস।
তবে আঙুল ফোটানো একটি মন্দ অভ্যাস। আঙুল ফোটালে শরীরের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। তবে অতিরিক্ত আঙুল ফোটালে অতিরিক্ত চাপের কারণে হাড়ের সমস্যা হতে পারে বা হাড়ের স্থানচ্যুতি ঘটতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাঝে মাঝে আঙুল ফোটালে অস্থির ক্ষতজনিত রোগ আর্থ্রায়টিস বা অস্টিওআর্থ্রায়টিস রোগ হওয়ার আশংকা কিছুটা কম থাকে। তবে ঘাড় ফোটানো পরিহার করা উচিত, কারণ ঘাড় ফোটাতে গিয়ে ঘাড়ে স্থায়ী ব্যথা, ঘাড়ের রগে বড় ধরনের সমস্যা বা এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
এএ
Advertisement