মার্কিন সিনেটের একদল আইনপ্রণেতা সৌদি আরবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাওয়ায় কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তাছাড়া সৌদির বহু অপকর্মের হোতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘পুরাই গুণ্ডা হয়ে গেছেন’ বলে অভিযোগ করেছেন আইনপ্রণেতারা।
Advertisement
সম্প্রতি সৌদি আরবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে সাবেক আর্মি জেনারেল জন আবিজায়িদকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বুধবার সিনেটে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সৌদি যুবরাজ সালমানের কড়া সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করেন আইনপ্রণেতারা।
ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থীর পদ নিশ্চিত করতে মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সিনেটের ওই শুনানিতে আইনপ্রণেতারা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন।
ইয়েমেন যুদ্ধে ভূমিকা, নারী মানবাধিকার কর্মীদের আটকে রেখে তাদের ওপর নির্যাতন ও তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেট সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যার নিয়ে সৌদি আরবের সমালোচনা করেন তারা।
Advertisement
সিনেটের ওই শুনানিতে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের পাশাপাশি বিরোধী ডেমোক্র্যাটদলীয় সদস্যরাও ছিলেন। তারা সবাই সৌদি আরবের নিন্দা করেন। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদির আরবের জড়ানোনহ দেশটির সব ধরনের অপকর্মের পেছনে সালমানের হাত আছে বলে দাবি করেন তারা।
মার্কিন সিনেটররা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সাংবাদিক খাশোগি হত্যার জন্য দায়ী করেন। তাছাড়া আরও অনেকেই তাকে দেশটির শোচনীয় মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেন।
শুনানি কমিটির চেয়ারম্যান ও রিপাবলিকান সিনেটর জিম রিশ বলেন, ‘সৌদি আরব এমন অনেক কিছুতেই জড়িত যেগুলো পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।’
ট্রাম্পদলীয় রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও বলেন, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘পুরোই গুণ্ডা বনে গেছেন। দেশেটির সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেন এ ধরনের বেপোরোয়া ও নির্মম ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করা খুবই কঠিন।’ তাছাড়া রিপাবলিকান সিনেটর রন জনসনও যুবরাজের বিুরদ্ধে এমন অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন।
Advertisement
এসএ/পিআর