শেষ ৭ বলে শেখ জামালের দরকার ছিল ১১ রান, হাতে ২ উইকেট। তখনও বোঝা যাচ্ছিল না, এই ম্যাচে জিততে যাচ্ছে কোন দল। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব কাগজে কলমে শক্তিশালী। তাদের দিকেই হয়তো বাজি ধরার লোক ছিল বেশি। কিন্তু উত্তরা স্পোর্টিং ম্যাচটা বের করে নিলো দারুণ বোলিংয়ে। অলআউট না হলেও শেষ ৭ বলে মাত্র ১ রান করতে পেরেছে শেখ জামাল।
Advertisement
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শেখ জামালকে ৯ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে নবাগত উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২৪৯ রান তুলতে পেরেছিল উত্তরা স্পোর্টিং। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান আর আনিসুল ইসলাম ইমন উদ্বোধনী জুটিতেই তুলেন ১১৩ রান। টানা দুই ওভারে দুজনকে ফেরান তানবীর হায়দার। ইমন ৭৫ বলে ৪৭ আর তানজিদ সমান বলে করেন ৬৪ রান।
এরপর রাজা আলি দার ১৮ রানেই ফিরে যান। তবে চতুর্থ উইকেটে মিনহাজ খানকে নিয়ে ৭৫ রানের জুটি গড়েন সজীব হোসাইন। মিনহাজ ৩৮ করে ফিরলেও সজীব অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে।
Advertisement
২৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল শেখ জামাল। ৩ উইকেটেই তারা তুলে ফেলেছিল ১৪৯ রান। কিন্তু নাসির হোসেন ৪৮ রান করে ফেরার পরই যেন মরক লেগে যায় দলটির।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নুরুল হাসান ৪৫তম ওভারে এসে ফেরেন ৬৫ রান করে। ৩৫ বলে তখন ৪৭ রান লাগে শেখ জামালের। জিয়াউর রহমান ২৭ বলে ২৭ করেন। কিন্তু শেষের ব্যাটসম্যানরা বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি।
২০ বলে ২৮ রান করে ইলিয়াস সানি যখন আউট হয়েছেন, ইনিংসের মাত্র ২ বল বাকি তখন। জামালের দরকার ছিল ১০ রান। ওই ২ বলে কোনো রানই আসেনি। ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে দলটি থামে ২৪০ রানে।
উত্তরা স্পোর্টিয়ের আবদুর রশিদ ৪৪ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। ৬৫ রানে ৩টি উইকেট নেন আসাদুজ্জামান পায়েল।
Advertisement
এমএমআর/পিআর