দেশজুড়ে

ঠাকুরগাঁওয়ে তুলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

ঠাকুরগাঁও তুলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রচেষ্টায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে জেলায় তুলার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তুলা চাষ লাভজনক হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরাও তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কৃষকদের তুলা চাষে আকৃষ্ট করতে এবং তুলার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ঠাকুরগাঁও তুলা গবেষণাকেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে। তুলা উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে তুলার আমদানিও কমে এসেছে।শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার খোচাবাড়ি, শিবগঞ্জ, চিলারং, পুরাতন ঠাকুরগাঁওসহ বেশ কয়েকটি তুলার প্লট পরিদর্শন করেন সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর এবিএম মাহমুদ হাসান ফেজ-১, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ আল মামুন, প্রধান সহকারী নাজমুল ইসলাম ঋষি, সদর উপজেলার স্টোর কাম ফিল্ডম্যান নাহিদ সুলতানা প্রমুখ।সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর এবিএম মাহমুদ হাসান ফেজ-১ জাগো নিউজকে জানান, দেশে চাহিদার মাত্র ৩ ভাগ তুলা উৎপাদিত হয়। বাকি ৯৭ ভাগ তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বিদেশ থেকে তুলা আমদানি কমাতে সরকার তুলা চাষে বিশেষ নজর দিয়েছে। এ কারণে আগামীতে দেশে তুলার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ আল মামুন জাগো নিউজকে জানান, ঠাকুরগাঁও একটি উৎপাদনশীল এলাকা। এই এলাকায় তুলা চাষ বাড়াতে পারলে কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হবে। ধান-পাটসহ যে কোনো ফসলের চেয়ে তুলা চাষ অধিক লাভজনক। তিনি আরো বলেন, প্রতি ৩৩ শতক জমিতে তুলা চাষ করতে মোট খরচ পড়বে সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। সেখানে তুলার উৎপাদন হবে ১৫ থেকে ১৮ মণ। প্রতি মণ তুলার মূল্য ২৫শ টাকা থেকে ২৭শ টাকা। কৃষকদের মধ্যে তুলার চাষ বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় তুলা চাষ বাড়াতে সময় বেশি লাগছে। রবিউল এহসান রিপন/এসএস/আরআইপি

Advertisement