মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল আরাকান আর্মির তিন সদস্য এবং বাড়ির মালিক ডা. রেনেই জু মারমাকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার চসি অং মারমা ও মংচ ওয়াং মারমাকে রাঙামাটির আদালতে পাঠানো হয়েছে।এর আগে বৃহস্পতিবার রাঙামাটির রাজস্থলীর গাইন্দ্যা ইউনিয়নের তাইতংপাড়া কলেজগেট এলাকার সেই বিলাসবহুল বাড়ি থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল আরাকান আর্মির সদস্য অংনু ইয়ং রাখাইনকে আটকের একদিন পর শুক্রবার বিকেলে ওই গ্রুপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো দুইজনকে আটক করে যৌথবাহিনী। অংনু ইয়ং রাখাইনের স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে এ দু’জনকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রাজস্থলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অহিদ উল্ল্যাহ সরকার।আটকরা হলেন, উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের মুক্তপাড়া পুনর্বাসন এলাকার বাসিন্দা মৃত হ্লা থোয়াই মারমার ছেলে চসি অং মারমা (৪২) ও অংক্যজাই মারমার ছেলে মংচওয়াং মারমা (৩৯)। রাজস্থলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অহিদ উল্ল্যাহ সরকার জানান, এর আগে আটক মিয়ানমারের নাগরিক অংনু ইয়ং রাখাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের মুক্তপাড়া পুনর্বাসন এলাকা থেকে চসি অং মারমা ও মংচওয়াং মারমাকে আটক করে যৌথবাহিনী।এদিকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার আটক দুইজনের মধ্যে চসি অং মারমা ওই বিলাসবহুল বাড়ির কেয়ার টেকারের কাজ এবং মংচওয়াং মারমা বাড়ির ঘোড়াগুলোকে পরিচর্যা ও ঘোড়ার গাড়ি চালানোর কাজ করতেন। অপর এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মূলত মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল আরাকান আর্মির সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চিকিৎসা সামগ্রী, প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ এবং অর্থ সংগ্রহ করে দলটির কাছে সেগুলো পাঠানোর উদ্দেশ্যেই রাজস্থলীর ওই দুর্গম এলাকায় সুরম্য প্রাসাদটি তৈরি করে সেটিকে ট্রানজিট সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। সুশীল প্রসাদ চাকমা/এসএস/আরআইপি
Advertisement