এশিয়ার বৃহত্তম আইনজীবী সমিতি ‘ঢাকা আইনজীবী সমিতি’র (বার) ২০১৯-২০ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Advertisement
নির্বাচনে এবার ১৭ হাজার ৮৯৭ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা ছিল। তবে দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণে ৯ হাজার ৩৬৪ জন ভোট দিয়েছেন। বাকি ৮ হাজার ৫৩৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেনি।
দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। মাঝখানে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৫টায়।দ্বিতীয় দিনে ভোট দিয়েছেন ৪ হাজার ৭২২ জন। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম দিনে ৪ হাজার ৬ শত ৪২ জন ভোট দিয়েছেন। ওইদিন বৈরী আবহাওয়া ও ঢাকা সিটির নির্বাচনের কারণে সাধারণ ছুটি থাকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে সর্ব সম্মতিক্রমে দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণের জন্য ৭ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়। এবার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বারের সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বাদল। তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের মোট ২৭টি পদে দু’জন করে ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৪ হাজার ৬৮৪ জন সদস্যের মধ্যে ১৭ হাজার ৮৯৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’
Advertisement
নীল প্যানেলে সভাপতি পদে মো. ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান এবং সাদা প্যানেলে সভাপতি পদে গাজী শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আসাদুজ্জামান খান রচি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, ট্রেজারার পদে আব্দুল জলিল আফরাদ (কবির), সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ ওমর ফারুক আসিফ, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মো. আতাউর রহমান খান রুকু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শায়লা পারভীন পিয়া, দফতর সম্পাদক পদে মো. জাহিদুল ইসলাম কাদির, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. উজ্জ্বল মিয়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন খন্দকার টগর।
সদস্য পদে আয়েশা বিনতে আলী, এএইচএম শফিকুল ইসলাম মোল্লা সোহাগ, হোয়াত আল মাহমুদ জিকু, কাওছার হাসান, মো. সাব্বির হাসান, মো. বাহারুল ইসলাম বাহার, মো. হাসান আকবার আফজাল, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. জুয়েল শিকদার, মো. মাসুম মিয়া, মো. মাসুম মৃধা, সাইফুল ইসলাম, সৌরভ হোসেন, তানভীর আহমেদ সজিব ও তুষার ঘোষ।
Advertisement
নীল প্যানেলের অপর প্রার্থীরা হলেনসিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, সহ-সভাপতি পদে এ আর মিজানুর রহমান, ট্রেজারার পদে মো. লুৎফর রহমান আজাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. নিহার হোসেইন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া ছোটন, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মো. জিয়াউল হক জিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোরশেদা খাতুন শিল্পী, দফতর সম্পাদক পদে মো. জুলফিকার আলী হয়দার জীবন, খেলাধুলা সম্পাদক পদে মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব হাসান রানা।
সদস্য পদে আজহার উদ্দিন রিপন, কাজী রাওশান দিল আফরোজ, এম আর রাসেল, মো. বাবুল আক্তার, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. ইকবাল মাহমুদ সরকার, মো. মেহেদী হাসান জুয়েল, মো. রাসেদুল ইসলাম রাসেল, মোহাম্মাদ ইব্রামি (স্বপন), মোহাম্মাদ মোস্তফা কামাল, মো. ইয়াছিন মিয়া, মোছা. ফারহানা আক্তার লুবনা, নজরুল হক সুভা, শাহীন সুলতানা খুকি ও সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া জাদু।
২০১৮-১৯ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের সাদা প্যানেল বিজয় লাভ করেন। এতে ২৭টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪টি পদেই জয়ী হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। অপরদিকে সভাপতি পদসহ ১৩ পদ পেয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা।
২০১৭-২০১৮ কার্যবর্ষের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল জয়লাভ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ৬টি পদে জয়লাভ করে।
এছাড়া ২০১৬-১৭ মেয়াদের কার্যকরী কমিটি নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদেই জয়ী হন আওয়ামী সমর্থীত আইনজীবীরা। অপরদিকে বিএনপি সমর্থীত নীল প্যানেল পেয়েছিলেন ৬টি পদ।
জেএ/আরএস/পিআর