দেশের যে সকল বেসরকারি হাসপাতালগুলো আইন অনুযায়ী অসহায় ও গরিবদের জন্য বিনামূল্যে ১০ শতাংশ বেড ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে এবং কোন হাসপাতালগুলো আইন অমান্য করছে তার একটি তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
আগামী ৮ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে, আইন অনুসারে দেশের সকল বেসরকারি হাসপাতালে অসহায় ও দুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় বিনামূল্যে ১০ শতাংশ বেড ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদানে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. আবু তৌহিদ ভূঁইয়া প্রিন্স। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল হাসপাতালে অসহায়, গরিব ও দুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ১০ শতাংশ বেড ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিচালক, চেয়ারম্যান এবং প্রিন্সিপালকে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী মো. আবু তৌহিদ ভূঁইয়া প্রিন্স বলেন, ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১-তে (সংশোধিত) ৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কমপক্ষে ২ বছর পূর্ব থেকে প্রস্তাবিত ক্যাম্পাসে প্রয়োজনীয় কাঠামোসহ ন্যূনতম ২৫০ শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল চালু থাকতে। এর মধ্যে হাসপাতালে দরিদ্র জনগণের জন্য বিনা ভাড়ায় অন্তত ১০ শতাংশ বেড সংরক্ষণসহ বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকতে হবে। হাসপাতালে সমস্ত আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ সার্বক্ষণিক জরুরি চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু থাকতে হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।’
Advertisement
তবে ওই নীতিমালা বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের গত ৩০ জানুয়ারি একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মো. আবু তৌহিদ ভূঁইয়া প্রিন্স। কিন্তু সে নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
এফএইচ/এসআর/এমকেএইচ