হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল ও গুলি ধরা না পড়ার প্রসঙ্গে ব্যাখা দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন গণমাধ্যমে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের ব্যাখা তুলে ধরা হয়েছে।
বলা হয়, গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল ও গুলি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের স্ক্যানারে ধরা না পড়ার প্রসঙ্গে তিনি (ইলিয়াস কাঞ্চন) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলছেন, ‘ব্যাগে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তলটি বাসায় রেখে আসতে ভুলে যান। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের প্রবেশ গেটে ব্যাগটি তল্লাশি করা হয়। নভোএয়ারের বোর্ডিং কাউন্টারে এসে ব্যাগে থাকা পিস্তলের কথা মনে পড়ে। স্ক্যানিং মেশিনে পিস্তল ধরা না পড়ায় আমি অবাক হই। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে শাহজালাল কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেন।’
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘প্রথম স্ক্যানার পার হওয়ার পরে মনে পড়ায় আমিই (ইলিয়াস কাঞ্চন) তাদের কাছে গিয়েছি। কেন স্ক্যানারে এ বিষয়টি ধরা পড়েনি তা নিয়ে আমি তাদের কাছে অভিযোগ করেছি।’
Advertisement
তবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার বিষয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সংবাদ মাধ্যমে অন্যায়ভাবে একের পর এক অসত্য কথা বলছেন। প্রকৃতপক্ষে ওইদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যা ঘটেছে তা হলো- ইলিয়াস কাঞ্চনের ল্যাপটপের ব্যাগে থাকা পিস্তল ও গুলি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের অ্যান্টি হাইজাকিং পয়েন্টে স্ক্যানিং করার সময় মেশিনে শনাক্ত হয়।
মন্ত্রণালয় আরও বলে, বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি তার ভুল স্বীকার করেন। তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তাকে বিমানবন্দরের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিস্তলটি বহন করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ওই স্থান থেকে ফেরত যান। পরবর্তীতে তিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিমানে চট্টগ্রামে গমন করেন।
আরএম/আরএস/পিআর
Advertisement