জাতীয়

জজ কোর্ট ভবনের লিফট ছিঁড়ে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কোর্ট ভবনের লিফট ছিঁড়ে পড়ে ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরি। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে এই বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কোর্টের পুরাতন পাঁচতলা ভবনের চারতলা থেকে একটি লিফট ছিঁড়ে পড়ে ১২ জন আহত হন। ঘটনার পর পরই এই কমিটি গঠন করা হয়।

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায়কে কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্যকে। এছাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আফরাফুজ্জামান ও গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-৩ এর উপ-বিভাগীয় প্রকোশলী কাজী মাশফিক আহমেদকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরি জাগো নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য আমারা চার সদস্যর একটি কমিটি গঠন করেছি। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

জজ কোর্ট ভবনের লিফট ছিঁড়ে আহতদের প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ঢামেকে ভর্তিরা হলেন- হাজিরা দিতে আসা আসামি সুজন (২২), আইনজীবী সোয়াদ (৩৫), পেশকার সুমন (২৫), আইনজীবী মিঠু (৩৫), লিফটম্যান জাহাঙ্গীর (৫০), আইনজীবী আইয়ুব আলী (৫৮) ও আইনজীবী সুলতান আহমেদ (৩১)।

পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন- আইনজীবী শামসুন্নাহার। তিনি বাম পায়ে আঘাত পেয়েছেন।

ঢামেক জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, আহতদের কেউ মাথায়, কেউ ঘাড়ে, কেউ কোমড়ে আঘাত পেয়েছেন।

Advertisement

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, লিফট ছিঁড়ে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই আঘাতপ্রাপ্ত।

পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, আহত ১২ জনের মধ্যে আটজন ঢাকা মেডিকেলে তিনজন পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর একজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জন আইনজীবী, একজন কোর্ট স্টাফ ও লিফটম্যান রয়েছেন। বাকিরা বিচারপ্রার্থী ও আসামি।

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নেওয়াজ মো. তানভীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, লিফটি ১৯৮০ সালের। এর ধারণক্ষমতা আটজন। এটি রশিদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান মেইনট্যান্স করে।

জেএ/এমবিআর/এমকেএইচ