বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও সরকারি প্রতিনিধি দলকে রিয়াদের একটি কনফারেন্সে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে সৌদি আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নে ‘বাংলাদেশ-সৌদি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল’ সৃষ্টি করতে পারি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সৌদি আরবের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর উপলক্ষ্যে এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসা সৌদি আরবের এ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব রয়েছেন দেশটির অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মেদ আল তোয়াইজরি এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মনোনীত এ প্রতিনিধিদলে সৌদি উন্নয়ন তহবিল ও সরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
Advertisement
আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশ এশিয়ার নতুন টাইগার। আমরা এ দেশকে বিশ্বাস করি। সৌদি আরবের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশ। আমাদের বাংলাদেশি ভাইরা গত এক দশকে সৌদি আরবের উন্নয়নে সহায়তা করেছে। প্রায় দুই মিলিয়ন বাংলাদেশি সৌদি আরবে আছেন। যারা নতুন সৌদি আরব গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছেন।
দুই দেশের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-সৌদি আরব বাণিজ্যিক লেনদেন বেশ কম। উভয় দেশের মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ১.৪ বিলিয়ন ডলার, যা সন্তোষজনক নয়।
সৌদি প্রতিনিধি দলের বংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় স্থাপিত হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা সহায়তা, কাজ ও সুযোগের সন্ধানে এখানে এসেছি। আশা করি এই বৈঠক ফলপ্রসু হবে। আমরা নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঠিক করতে পারব।
এ সময় ‘বি টু বি’ (ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসায়ীর), ‘জি টু জি’ (সরকারের সঙ্গে সরকারের) এবং ‘বি টু জি’ (ব্যবসায়ীর সঙ্গে সরকারের) অংশীদারিত্ব মূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে রিয়াদে একটি উন্মুক্ত সংলাপে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
Advertisement
সৌদি আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির আগে সংলাপে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১১ থেকে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। যা আগামী পাঁচ বছরের দুই অংকের হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আমাদের আশা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩১তম এবং ২০৪১ সালে ২০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হওয়া।
অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, আমরা আমাদের ভিশন-২০৩০ নির্ধারণ করেছি। বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং যৌথ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে, যাতে উভয় দেশ লাভবান হয়।
এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম