নয়নতারা একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। পাঁচ পাপড়িযুক্ত ফুলের জন্য এগাছ খুব পরিচিত। এ গাছ আকারে ২-৩ ফুট। কাণ্ড কোণাচে বেগুনি, পাতা আয়তাকার, গোড়ার দিকটি ডিম্বাকার। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মঞ্জুর মোর্শেদ রুমন-
Advertisement
এ গাছে প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। ফুল সাদা বা গোলাপি রঙের। পুরো ফুল একরঙা হলেও ফুলের মধ্যবিন্দুটি অন্য রঙেরও হয়। ফুলটি গন্ধহীন। ফুলের মাপ ৩-৩.৫ সেন্টিমিটার চওড়া, দলনল সরু, ২.৫ সেন্টিমিটার লম্বা, ৫ পাপড়ির মাঝখানে রয়েছে গাঢ় রঙের একটি ফোঁটা।
> আরও পড়ুন- অর্কিডের যত্ন নিবেন যেভাবে
এর আদি নিবাস মাদাগাস্কার তবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফ্রিকাসহ কয়েকটি দেশে দেখা যায়। এটি বহু বর্ষজীবী হলেও পুরনো হয়ে গেলে শক্তি কমে যায়, ফুলও কম ধরে। এ গাছে সারা বছরই ফুল ফোটে এবং ফল ধরে। ফল, যা আকৃতিতে সরিষার দানার চেয়ে সামান্য বড়।
Advertisement
এই ফলের বীজ অথবা গাছের কলম এ দুই উপায়েই গাছ বিস্তার লাভ করে। গাছ লাগানোর পর মাঝে মাঝে খুব লম্বা ডালগুলো খানিকটা ছেঁটে দিতে হয়, নয়তো কাণ্ড কাষ্ঠল হয়ে ফুলও কমে যেতে পারে। নয়নতারার দুটি বৈজ্ঞানিক নাম আছে। তা হলো ‘ভিনকা রোসিয়া’ এবং ‘ক্যাথারানথাস রোসিয়া’।
> আরও পড়ুন- টবে ওষুধি গাছ লাগালে যে উপকার পাওয়া যায়
নয়নতারার ভেষজ গুণ সর্বজনস্বীকৃত। সম্পূর্ণ তিতা স্বাদের গাছটির রস ডায়াবেটিস ও কৃমির প্রকোপ কমাতে ব্যবহার হয়। গাছের ডাল, কাণ্ড সেদ্ধ করে তৈরি হয় ক্বাথ, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রক। বোলতা, মৌমাছি প্রভৃতির হুলের জ্বালায় বা কীট দংশনে দ্রুত উপশম পেতে নয়নতারা ফুল বা পাতার রস ব্যবহারের প্রচলন আছে।
তাছাড়া মেধা বাড়াতে, লিউকোমিয়া, সন্ধিবাতসহ নানা রোগে এর ব্যবহার রয়েছে।
Advertisement
লেখক: প্রকৃতিপ্রেমী।
এসইউ/জেআইএম