সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবতাহি সিদ্দিকী নামে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গুরুতর দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দুই বছর কোমায় রয়েছে। তিনি আবুধাবি মেরিল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।
Advertisement
আমিরাতের মুসাফ্ফাতে বন্ধুর বাড়িতে থেকে নোট আনতে যাওয়ার সময় ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টায় দুর্ঘটনার ঘটে। ২৩ মাস ধরে তিনি আবুধাবি হাসপাতালের কোমায় রয়েছেন।
১৫ বছর বয়সী আবতাহি সিদ্দিকী বাংলাদেশি ছেলেটি এখন আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির একটি হাসপাতালের বিছানা থেকে জল ভরা চোখে তার পরিবারের সদস্যদের দিকে চেয়ে থাকে কিন্তু এখনো মুখে কোনো কথা বলতে পারছে না। সে পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। তার ছোট ভাই আব্রারও তার সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছে।
আবুধাবিতে ২৫ বছর ধরে বসবাসকারী আবতাহির পিতা, সিদ্দিকী আহমদ মুসাফ্ফাতে একটি রেস্তোরাঁ চালান। তিনি জানান, গত দু বছর ধরে হাসপাতাল আর ঘরে আশা-যাওয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে তাদের পুরো পরিবার। শুধু ছেলে নয় পুরো পরিবার যেন এই ঘটনায় কোমায় আছে এমন অবস্থা।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘ওই সড়কে যানবাহনের নির্ধারিত গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার হলেও প্রায় ১০০ কিলোমিটারের উর্ধ্বে গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে চালানো হচ্ছিল বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছেন।’
তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন সে ৩য় পর্যায়ের কোমায় ছিল। এখন ডাক্তারদের ক্রমাগত প্রচেষ্টায়, তার অবস্থা উন্নতির দিকে। এখন সে ৬-৭ কোমা পর্যায়ে রয়েছে তবে কেবল তার চোখ খুলতে পারে। যখন সে কোমার ১০ম পর্যায়ে পৌঁছাবে, তখন সে হাঁটতে পারবে বলে ডাক্তাররা তার বাবাকে জানিয়েছেন।
হাসপাতাল থেকে যথেষ্ট সহায়তার প্রশংসা করেন আবতাহির বাবা। কিন্তু দোষীর সন্ধান পেয়ে এবং ‘কোর্ট অব ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স’-এর ক্ষতির জন্য অর্থ প্রদানের আদেশ দেয়ার পরও আবুধাবি আদালতে মামলাটি চলমান অবস্থায় রয়েছে।
সিদ্দিকী আহমেদ বলেন, ‘আমার সারা জীবনের অর্জিত মূলধন শেষ করেছি। এখন আমি হাসপাতালে একটি অঙ্গীকার দিয়েছি আদালত থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর সেই বিল পরিশোধ করব।’ তিনি সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া কামনা করেন।
Advertisement
এমআরএম/জেআইএম