মাদক ব্যবসার মতো গুরুতর অপরাধের শাস্তি হিসেবে আবারও মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকরের পরিকল্পনা করছে শ্রীলঙ্কা। তবে দেশটিতে জল্লাদ নেই একজনও। তাই জল্লাদ চেয়ে গত মাসে বিজ্ঞাপন দেই শ্রীলঙ্কান সরকার। বিজ্ঞাপন দেখে এক আমেরিকানসহ মোট ১০২ জন আবেদন করেছে।
Advertisement
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছেন রদরিগো দুতার্তে। দেশটিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মাদক চোরাচালান ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রায় কয়েক হাজার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শ্রীলঙ্কান সরকার ফিলিপাইনের এই 'মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' নীতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আবারও মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বলেন, দীর্ঘ বিরতির পর তিনি আবারও মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করতে চান।
দেশটির প্রিজন সার্ভিসের মুখপাত্র থুসারা উপলদিনিয়া বলেন, জল্লাদ নিয়োগের জন্য ‘ভালো নৈতিক চরিত্র' এবং ‘মানসিক শক্তি সম্পন্ন' ব্যক্তি চেয়ে গত মাসে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই এক আমেরিকানসহ মোট ১০২ জন আবেদন করে। তবে বিদেশিরা এ চাকরির যোগ্য না হওয়ায়, ওই আমেরিকানের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
Advertisement
শ্রীলঙ্কায় মাদক ব্যবসা একটি জাতীয় অপরাধ। তবে বৌদ্ধ প্রধান এ দেশের আইনে হত্যা, ধর্ষণ আর মাদক চোরাচালানের মতো গুরুতর অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও, ১৯৭৬ সালের পর দেশটির কোনো সরকারই তা কার্যকর করেনি।
২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ জল্লাদ একজনকেও ফাঁসি না দিয়ে পদত্যাগ করেন। কারণ, প্রথমবারের মতো ফাঁসিকাষ্ঠ দেখে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। গত বছর আরেকজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে তিনি এখনো কোনো কাজেই আসেননি।
সূত্র : রয়টার্স
এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement