পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে সাড়ে ৭শ’ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি এবং আইন-শৃঙ্খলায় সাড়ে চারশ’ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হতে পারে।
Advertisement
নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এনামুল হক বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসির একাধিক সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে এবার। পাঁচ বছর আগে উপজেলা ভোটে প্রায় ৩৭৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। তাতে নিরাপত্তা ব্যয় ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা আর পরিচালনায় ১৭৩ কোটি। ২০০৯ সালে একদিনে সব উপজেলায় ভোট হয়েছিল। তখন ব্যয় হয় প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে আইন-শৃঙ্খলায় ৪৯ কোটি এবং পরিচালনায় ৮৪ কোটি। ইভিএমে প্রথমবারের মতো উপজেলাগুলোয় ভোট হচ্ছে। এজন্য ইভিএম, ট্যাব ও আনুষঙ্গিক কাজে আরও ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের সমান ব্যয় হচ্ছে উপজেলা ভোটে। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ৭৬৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০০ কোটি টাকা; নিরাপত্তা খাতে ব্যয় হয় ৪৬৪ কোটি টাকা।
Advertisement
পাঁচ বছরের মাথায় নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার বিষয়ে ইসির বাজেট শাখার কর্মকর্তারা জানান, ধাপে ধাপে ভোট, নির্বাচনী সামগ্রী, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ভাতা, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক ব্যয়ও বেড়েছে।
৫ দিনের জন্য মাঠে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা বিষয় পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ১০, ১৮, ২৪ ও ৩১ মার্চ চার ধাপের ভোট রয়েছে। ভোটের আগে দুদিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরে দুদিন মিলিয়ে পাঁচদিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়। গ্রাম পুলিশও থাকবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায়। নির্বাহী ও বিচারিক হামিক থাকবে আচরণবিধি প্রতিপালনে। রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে।
৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণা শেষ, ৭ দিন আগে বৈধ অস্ত্র বহনও নিষিদ্ধভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ভোটের ৭ দিন আগে থেকে বৈধ লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র বহন, প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ থাকবে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রভেদে। সাধারণ কেন্দ্রে ১৪ জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫; বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য, হাওর ও দ্বীপ) সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন নিয়োজিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ থেকে পাঁচ ধাপে এবার উপজেলা ভোট শুরু হচ্ছে। দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ৮৬টি, দ্বিতীয় ধাপে ১২৪টি, তৃতীয় ধাপে ১২৭টি ও চতুর্থ ধাপে ১২২টি উপজেলায় ভোট হবে। জুনে বাকি উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে। এবার উপজেলা ভোটে চার ধাপ মিলিয়ে ৪৫৯ উপজেলায় ৫৮২০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ১২২ জন একক প্রার্থী রয়েছে।
Advertisement
এইচএস/জেএইচ/পিআর