নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু ও রেল-সংযোগ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন সুবিধার চেক প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ড্রপ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১০ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মাঝে পুনর্বাসন সুবিধার চেক প্রদান করেন রেলমন্ত্রী।
নির্মাণাধীন রেল-সংযোগ প্রকল্প ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। মুন্সিগঞ্জে ৬৭১ জন ক্ষতিগ্রস্তকে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা দেয়া হবে। আজ ১৭৫ জনকে চেক দেয়া হয়।
Advertisement
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, যেদেশে রেলপথ যত উন্নত সেদেশ ততবেশি উন্নত। অথচ বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে এদেশে রেলের ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে রেলব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিল। মানুষকে বেকার করে দিয়েছিল তারা।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় রেললাইন হবে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাবে ট্রেন। বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় রেলসংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হলে দেশের জিডিপিতে দুই শতাংশ ও রেলপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক শতাংশ যুক্ত হবে। ডেলটা পরিকল্পনার মাধ্যমে ১০০ বছর পরের বাংলাদেশকে আমরা কোন পর্যায় দেখতে চাই, তার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া-১ আসনের এমপি একেএম সারওয়ার জাহান বাদশা ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম।
প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- সিএসসির প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ ও ড্রপের প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান প্রমুখ।
Advertisement
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এএম/পিআর