খেলাধুলা

বোল্টের কথায় সাহস পেতে পারেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা

প্রথম ম্যাচে ইনিংস ও ৫২ রানের ব্যবধানে জিতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দল এখন অপেক্ষায় রয়েছে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে সে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর চারটায়।

Advertisement

দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য যেনো খুশির খবরই দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। তিনি জানিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচের ভেন্যু তথা বেসিন রিজার্ভের উইকেট বরাবরই ব্যাটিং বান্ধব, যেখানে ব্যাটসম্যানদের অতীত পরিসংখ্যান অনেক ভালো। বিধ্বংসী এ পেসারের এমন কথা নিঃসন্দেহে সাহস যোগাবে লিটন দাস, মুমিনুল হকদের মনে।

একদম ভুল বলেননি বোল্ট! ২০১৬-২০১৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে বেসিন রিজার্ভেই ৮ উইকেটে ৫৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ২১৭ এবং মুশফিকুর রহীমের ১৫৯ রানের ইনিংস খেলার পথে গড়েছিলেন ৩৫৯ রানের রেকর্ড জুটি।

এছাড়াও সবশেষ গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ পুরো একদিন উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচ ড্র করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন এই বেসিন রিজার্ভেই। তাই তো বোল্টের কণ্ঠে ওয়েলিংটনের উইকেটে বোলারদেরও জন্যও কিছু রাখার আকুতি।

Advertisement

বুধবার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমে বোল্ট বলেন, ‘ওয়েলিংটনে ব্যাটিংয়ের রেকর্ড রয়েছে অনেক। কারণ এখানের উইকেট সত্যিকারের ব্যাটিং পিচ এবং সময়ের সঙ্গে এটা আরও ব্যাটিং উপযোগী হয়। তবে আমি আশা করছি এবার পেসারদের জন্য উইকেটে সবুজাভ কিছু রাখা হবে, যাতে করে ব্যাটে-বলে সমান উপভোগ্য লড়াই হয়। কিন্তু আমাদের মূলত দল হিসেবে ভালো বোলিং করার দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি আসলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের মতোই উইকেট আশা করছি। যদিও আমি চাই না আবারো প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা উইকেটবিহীন দিন কাটাক। এজন্য আমাদের অবশ্যই একটা পথ বের করতে হবে এবং নিয়মিত উইকেট নিতে হবে। আমি অনুভব করছি যে আমাদের সেই সামর্থ্য রয়েছে।’

এসময় দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রথম ম্যাচের মতোই পরিকল্পনার কথা জানান বোল্ট। তার ভাষ্যে, ‘হ্যামিল্টনে আমরা ভালো করেছি ঠিকই, তবে এখনো বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে আমাদের উন্নতি প্রয়োজন। আমরা চাইবো বল হাতে আরও ভালো শুরু করতে এবং শুরু থেকেই তাদের টপঅর্ডারে চাপ দিয়ে উইকেট তুলে নিতে। আমার মনে হয় যেহেতু তারা হ্যামিল্টনে প্রায় ৭০০ রান (দুই ইনিংসে) করেছে, এতে তাদের মধ্যে সাহস সঞ্চার হয়েছে। আমরা এর বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত।’

উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হলেও নিজ দলের বোলিংকে আরও সমৃদ্ধ করতে নেইল ওয়াগনারের মতো শর্ট বল স্পেশালিস্ট থাকাটাকে আশীর্বাদ মনে করছেন বোল্ট। তার মতে যখন উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু থাকে না, তখন ব্যাটসম্যানদের মনে ভয় জাগাতে প্রয়োজন শরীর ঘেঁষা শর্ট বল, যা করতে পটু আরেক বাঁহাতি পেসার ওয়াগনার।

Advertisement

বোল্ট বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা ওয়াগনারের শর্ট বলের জন্য তৈরি হয়েই আসবে। আমার মতে শর্ট বলের পরিকল্পনাটা খুবই কার্যকর, বিশেষ করে যখন উইকেটে কিছুই থাকে না, বল সুইং হয় না। আমাদের শর্ট বল স্পেশালিস্ট ওয়াগনার আছে, যে কিনা নিজের পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারে। আশা করছি দ্বিতীয় ম্যাচেও সে তাই করবে।’

এসএএস/জেআইএম