নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে না করায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন প্রেমিকা। একই সঙ্গে মামলার আসামি প্রেমিককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন প্রেমিকা।
Advertisement
তবে অভিযুক্ত প্রেমিকের দাবি, ওই নারীর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই নারী মোটা অংকের অর্থ আদায়ের জন্য নাটক সাজিয়ে তাকে হয়রানি করছেন।
এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকায়। এ নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সোমবার দুপুরে রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এসে মামলার আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রেমিকা।
প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া প্রেমিকা বলেন, আমার বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আড়াজিয়া এলাকায়। সাত বছর আগে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ে পর আমাদের এক কন্যাসন্তান হয়। পরে পারিবারিক বিভিন্ন কলহের জেরে ওই স্বামীর ঘর ছেড়ে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে চলে আসি। পাশাপাশি ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ নিই। বছর খানেক আগে রূপগঞ্জের চারিতালুক এলাকায় আমার মায়ের কাছে চলে আসি। এরপর চারিতালুক এলাকার পনির ভুইয়ার ছেলে সোহাগের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
Advertisement
প্রেমিকা আরও বলেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে সোহাগ। পরে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে অস্বীকার করে। সোহাগকে বার বার বিয়ের কথা বলেও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে উপায় না পেয়ে নিজে বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করতে বাধ্য হই।
তিনি আরও বলেন, মামলার পর আসামি এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে; অথচ তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। সোহাগতে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই আমি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগ বলেন, ওই নারীর সঙ্গে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। ওই নারী মোটা অংকের অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে নাটক সাজিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন। তদন্তের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।
এ ব্যাপারে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শহিদুল আলম বলেন, বিয়ে না করায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রেমিকা। মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করা হবে।
Advertisement
মীর আব্দুল আলীম/এএম/এমএস