জাতীয়

সংস্কার হচ্ছে ১৮শ মন্দির

সারাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ১ হাজার ৮১২টি মন্দির/ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ও সংস্কার করা হবে। এজন্য ২২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

Advertisement

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) একনেকের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

‘সমগ্র দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার’ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।

তবে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। সেবাধর্মী প্রকল্প উল্লেখ করে এর আয়-ব্যয়ও বিশ্লেষণ করা হয়নি।

Advertisement

প্রকল্পটি ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের টাকা তিন অর্থবছরে প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছর ৬৮ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার, ২০১৯-২০ অর্থবছর ৯১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার এবং ২০২০-২১ অর্থবছর ৬৮ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেয়া হবে।

প্রকল্পের যৌক্তিকতায় বলা হয়েছে, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রকাশিত ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যের আলোকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লাখ। দেশের হিন্দু জনসাধারণের ধর্মীয় কল্যাণ সাধন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা রক্ষার্থে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট মঠ/মন্দির/আশ্রম/তীর্থস্থান/শ্মশানের সংস্কার/উন্নয়নের জন্য আজ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে অনেক মন্দির ধ্বংস করে। অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে হিন্দু সংস্কৃতি ও মন্দিরগুলো রক্ষণাবেক্ষণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হিন্দু জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পূরণে সহায়ক হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষকে আমরা সমান গুরুত্ব দিই। এ আলোকে সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং সংস্কার প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যেসব প্রাচীন মন্দির নানা কারণে প্রায় ধ্বংসের মুখে বা সংস্কার সম্ভব, সেগুলোকে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই আমরা একটাকে স্ট্রং সাপোর্ট দিয়েছি। এটা করার প্রয়োজন আছে। আমাদের যে রাজনৈতিক দর্শন- সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে চাই। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। আমরা এই কাজটি করতে চাই।’

Advertisement

পিডি/এমবিআর/এমএস