ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের ব্যয় বেড়েছে। কারণ, বিমানের ফ্লাইট এখন যাচ্ছে বিকল্প পথ ধরে। এতে জ্বালানি, ক্রুদের ফ্লাইং আওয়ারের সঙ্গে বেড়ে গেছে বেশকিছু খরচ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অপারেশনের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
বিমানের হিসাব শাখার প্রাথমিক ধারণা মতে, শুধু মধ্যপ্রাচ্য আর লন্ডনের ফ্লাইটের অপারেশনে ব্যয় বেড়েছে এক চতুর্থাংশের উপরে।
জানা গেছে, লন্ডন, জেদ্দা, দাম্মাম, কুয়েত, দোহা যেতে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে বিমান।
ফ্লাইটের সময় বেড়েছে
Advertisement
আগে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা পৌঁছতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সময় লাগত প্রায় ৭ ঘণ্টা ২০ মিনিট। এখন জেদ্দা পৌঁছতে এক ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় লাগছে।
লন্ডন যেতে ১০ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের বদলে লাগছে ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ ঘণ্টা। কুয়েত যেতে ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের বদলে লাগছে ৭ ঘণ্টা, দোহা যেতে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে বদলে লাগছে ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
ফ্লাইটের সময় বেড়ে যাওয়ায় শিডিউলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ফ্লাইট শিডিউল আগে নির্ধারিত হলেও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছানো যাচ্ছে না।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ব্যবহার বন্ধ করে বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য। এ তালিকার মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও রয়েছে। থাই এয়ারওয়েজ, এমিরেটস ও কাতার এয়ারওয়েজের অনেক ফ্লাইট পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে যায়। সেটি বন্ধ হওয়ায় ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয় তারাও। তবে ফ্লাইট বাতিলের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
Advertisement
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞার পর বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত সময় লাগা ছাড়াও ব্যয় বেড়েছে। শিডিউলেও প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে বিমানের পর্ষদ ও মন্ত্রণালয় করণীয় ঠিক করে দেবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিনিয়র পাইলট ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুব বলেন, ব্যয় ও শিডিউলে বিরূপ প্রভাব পড়া ছাড়াও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এভিয়েশন বাণিজ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। সাময়িকভাবে এটি যদিও বোঝা যাচ্ছে না।
আরএম/জেডএ/এমএস