বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রেস ক্লাবে বক্তৃতা দিয়ে, ব্রিফিং করে আর যাই হোক বাঁচতে পারবেন না, বলে দিলাম।
Advertisement
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ জলিলের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা জেলে রাখতে চাই না। কিন্তু এখানে আইন আদালতের বিষয়ে আমরা কী করব বলেন। তবে আপনাদের দুঃশাসনের জন্য, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার না করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেয়ার জন্য, বেগম খালেদা জিয়া যে পাপ করেছেন সেই পাপ ভোগ করছেন। জানি না কবে এই পাপ মোচন হবে। তবে আশা রাখুন, সংসদে আসুন, কথা বলুন, আমরা নিশ্চয়ই আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, দেশ আজ গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছে। নির্বাচনে যারা পরাজিত হয়েছিল তারা সবসময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আমরা তো চাইনি তারা এভাবে পরাজিত হোক। আমরা চেয়েছিলাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে জোর প্রতিযোগিতা হোক। আমরা নির্বাচনের ২ মাস আগে থেকে প্রস্তুত ছিলাম এ পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোর প্রতিযোগিতা হবে। কারণ, এ দেশে আওয়ামী লীগের একমাত্র বিরোধী শক্তি হচ্ছে বিএনপি। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে কী কারণে ২৪ ঘণ্টা আগে মাঠ ছেড়ে চলে গেল তা আমরা এখনো বুঝতে পারিনি।
Advertisement
তিনি বলেন, কামাল হোসেনের মতো ব্যক্তিত্বকে আনা হলো। বড় বড় নেতাদের আনা হলো একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য। তাদের প্রার্থী নেতাকর্মীরা প্রস্তুত ছিল। কিন্তু কী কারণে ২৪ ঘণ্টা আগে তারা মাঠ ছেড়ে দিল তা আমরা জানি না। তবে তারা মাঠ ছেড়ে চলে গেল আর দুনিয়া জুরে মিথ্যা ছড়াল যে তাদের মাঠে থাকতে দেয়া হয়নি। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে তারা অসত্য বলেছিল।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আবার যারা নির্বাচনে বিজয়ী হলো তাদের দল থেকে সংসদে যেতে দেয়া হচ্ছে না। তাদের দঁড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে। তারা ৮ জন হোক ১০ জন হোক পার্লামেন্টে আসুক। তারা আসলে সরকার তো সবসময় আতঙ্কে থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই চাই, এ দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হোক। বিরোধী দলহীন দেশ আমরা চাই না। আমরা একসময় বিরোধী দল থেকেই ক্ষমতায় এসেছিলাম। ১৯৯৬ সালে আমরা বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করে মাঠ কাঁপিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলাম। আপনারা এ পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ না করে জেনেশুনে ভুল করছেন। আপনারা পার্লামেন্টে আসুন, সরকারের ভুল ধরুন। সরকারকে ঠিক রাখতে আপনাদের পার্লামেন্টে আসা উচিত। মির্জা ফখরুল পার্লামেন্টে আসেন আমরা নিজেরা উপস্থিত থেকে স্বাগত জানাব।
কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
Advertisement
এইউএ/জেডএ/এমএস