জাতীয়

স্টেশনে পরিত্যক্ত টয়লেট দেখে চটলেন রেলমন্ত্রী

কমলাপুর রেলস্টেশনে পাবলিক টয়লেট পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখে কর্মকর্তাদের ওপর চটেছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তিনি বলেন, পাবলিক টয়লেট বন্ধ বলেই মানুষ রাস্তায় দাড়িয়ে প্রস্রাব করছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে ক্ষিপ্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন রেলমন্ত্রী।

পরিদর্শনকালে রেলমন্ত্রী কমলাপুর রেলস্টেশনের প্রশাসনিক ভবন থেকে স্টেশনের আসার সময় নার্সারির পাশে বন্ধ, পরিত্যক্ত একটি ভবন দেখে গাড়ি থামান। কিন্তু গত রাতের সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে আছে। তাই তিনি সেখানে নামতে পারেননি। গাড়ি একটু সামনে নিয়ে নামেন মন্ত্রী। এ সময় রেল কর্মকতর্কাদের কাছে তিনি জানতে চান, এটা কিসের ভবন? কর্মকর্তারা জানান, এটি সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক টয়লেট। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে যান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এগুলো বন্ধ পরিত্যাক্ত কেন? স্টেশন এলাকায় এর রক্ষণাবেক্ষণ কে করবে?সিটি কর্পোরেশনের বলে এটি ফেলে রাখবেন? তাহলে আপনাদের কাজ কী?’

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘টয়লেট বন্ধ বলেই মানুষ রাস্তায় দা‌ঁড়িয়ে প্রস্রাব করছে। টয়লেট খোলা থাকলে তো এ মানুষ এখানে সেখানে প্রস্রাব-পায়খানা করত না।’

Advertisement

রেল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘নতুন সরকার এসেছে। নতুন মন্ত্রী। জনগণের জন্য এ উপলক্ষে নতুন কিছু কাজ করেন। এভাবে দায়সারা কাজ করলে চলবে না। আপনাদের কর্যক্রমে আমি সন্তুষ্ট হতে পারলাম না। মানুষের স্বার্থে দ্রুত এটি খুলে দেন।’

কমলাপুর রেলস্টেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কমলাপুর রেলস্টেশনের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। তবে তাদের (সংশ্লিষ্টদের) কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তাই অব্যবস্থাপনা দূর করার পাশাপাশি যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে এখানকার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে এক মাসের সময় দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে সংশোধন না হলে ব্যর্থতার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ৫ তারিখ। অর্থাৎ আগামী ৫ এপ্রিল আবার এখানে পরিদর্শন করব। ওই সময়ে মধ্যে তাদের সংস্কার করতে হবে। পরিবর্তন না হলে ব্যবস্থা।’

এ বিষয়ে রেলের বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক মো. মুনির জাগো নিউজকে জানান, পাবলিক টয়লেটটি সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রকল্প ছিল। তাদের কর্যাক্রম এখন বন্ধ। আমরা সংস্কারের জন্য নতুন করে টেন্ডার করেছি। আশা করছি শিগগিরই এর কাজ শুরু করতে পারবে। ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

এসআই/এসআর/এমএস