রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে শাশুড়িসহ একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি মো. আল ইসলাম জীবনকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের অতিরিক্ত ৮ নম্বর আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
Advertisement
২০১৬ সালের ৪ জুলাই চকবাজারে ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে আসামির রামদার কোপে শাশুড়ি রাশিদা বেগম ও সীমা আক্তার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনার দু'দিন পর গুরুতর আহত শ্রাবণী আক্তার বন্যাও মারা যায়।
মামলার বাদী মো. শাহাবুদ্দীন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর বড় বোন রাশিদা বেগম ও তার মেয়ে সীমা (৩০), নাতনী বন্যা (২৩), জুই (৫) ও সানী (২)-কে নিয়ে একই বাসায় থাকতেন। আসামি জীবনের সঙ্গে রাশিদা বেগমের মেয়ে সুমীর বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান জুই ও সানী।
সানীর জন্মের সময় মা সুমী মারা যায়। মায়ের কথামতো সন্তানরা রাশিদার কাছে থাকতো। সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য আদালতের দারস্থ হয় জীবন। কিন্তু আদালত তাদের নানী রাশিদার কাছেই থাকার আদেশ দেন। তারপর থেকে সময়ে সময়ে বাবা তাদের দেখতে আসতো।
Advertisement
২০১৬ সালের ৪ জুলাই আসামি জীবন শাশুড়ি রাশিদার বাসায় এসে বাচ্চাদের কাপড় দিতে চাইলে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে আসামি তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে শাশুড়ি রাশিদাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
বাদীর অন্য ভাগনি দুলালীর মেয়ে বন্যা এবং ভাগনি সীমা আসামিকে ফেরাতে এলে তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেএ/এসএইচএস/এমকেএইচ
Advertisement