১৯৯২ সালে সম্ভবত হাতে পড়েছিল সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হেনরি কিসিঞ্জারের আত্মজীবনীমূলক বই ‘ওয়াইট হাউজ ইয়ার্স’। বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা দিয়ে সাবেক এই মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর প্রধান এদেশের বক্তৃতায়- আলোচনায় স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। পাকশাসনের বিরুদ্ধে দু’দশকের বেশি সময় ধরে আন্দোলন আর নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে সেদিন যে বাংলাদেশের জন্ম, আজকে তার সাফল্যের মাপকাঠি কিসিঞ্জারের সেই মন্তব্যটি।
Advertisement
‘উপচে পড়া ঝুড়ির’ আজকের বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী আর এদেশের অনিষ্টপ্রত্যাশী প্রত্যেক অশুভাকাঙ্খির বিরুদ্ধে দাঁত ভাঙা জবাব। আর এই জবাবের মাপকাঠিও কিসিঞ্জারের ঐ ‘কালো মন্তব্যটিই’। কোথায় ছিলাম, কোথায় এসেছি আর কোথায় চলেছি, এসব কথা বলতে গেলে আমাদের কথায়-লেখায় বার বারই উঠে আসে কিসিঞ্জারের নাম।
সেদিন অবশ্য এদিনের প্রত্যাশা ছিল না। ৭৫ পরবর্তী ঘোর অন্ধকারে ডুবে থাকা বাংলাদেশে আজকের সূর্য যে কোনদিন উঠবে, তা ছিল সে সময় আমরা যারা ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শকে ধরে রেখেছিলাম তাদের কাছে অলীক কল্পনা। সে সময়টায় ঢাকা শহরে বছরে একটি মাসে ছোট্ট এক টুকরো আঙ্গিনায় মুক্তির সুবাতাস বইতো, আর তা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে একুশের বইমেলায়।
আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার যে বিশাল বিস্তার, সেদিনের বইমেলা ছিল সে তুলনায় সামান্য, শুধুই বাংলা একাডেমির চার দেয়ালে ঘেরা চত্তরে আবদ্ধ। তারপরও এগারো মাসের বন্দিত্বের পর একটা মাস মুক্ত বাতাসের প্রত্যাশায় আমরা অনেকেই ছুটে আসতাম ঢাকায়। বন্ধু কায়সারের পারিবারিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি পাবলিকেশনসের স্টলে বসে চলতো বই বিক্রি, বাদাম আর আড্ডা। স্বপ্নের মত কেটে যেত ফেব্রুয়ারিটা। তারপর আবারো এগারো মাসের অপেক্ষা।
Advertisement
হেনরি কিসিঞ্জারের ‘ওয়াইট হাউজ ইয়ার্স’ হাতে পাওয়ার পর কেন যেন আগ্রহের পারদটা চূড়ায় গিয়ে ঠেকলো। বিশেষ করে ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর যে চ্যাপ্টারটা, তার ভাষায় যা ‘১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ’। বাংলাদেশের প্রতি অবিশ্বাসীর চোখে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অপ্রকাশিত বিষয়গুলো বাংলাদেশের সাধারণ পাঠকদের সামনে তুলে ধরার আগ্রহটা এতটাই বাড়াবাড়ি রকমের বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় আমার প্রথম বই ‘প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর হেনরি কিসিঞ্জারের আত্মজীবনীর যে চ্যাপ্টারটি তারই অনুবাদ এটি। ঢাকা কলেজে পড়ার সময় বিভিন্ন পত্রিকায়, বিশেষ করে সাপ্তাহিকিতে কলাম লিখতাম। আমার প্রয়াত পিতার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রয়াত বন্ধু ফজলুল হক চাচার বড় ছেলে মোজাম্মেল বাবু ভাই তখনও আজকের চ্যানেল ৭১’এর মোজাম্মেল বাবু হয়ে উঠেননি ঠিকই, তবে পত্রিকা, সাংবাদিকতা আর লেখালেখির জগতে তখনই তার ছিল বলিষ্ঠ পদচারণা। অনেকটা তার উৎসাহেই আমার পত্রিকায় লেখালেখির আরম্ভটা। তারপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়তে গিয়ে হঠাৎ ছন্দপতন। হেনরি কিসিঞ্জারের আত্মজীবনীর অংশ বিশেষের এই অনুবাদ বইটি সেসময় পাঠকপ্রিয় হয়েছিল।
লেখালেখিতে আমার অন্য একটা স্তরে উত্তোরণের পথে একটা বড় ধাপ ছিল এই বইটা। পরের বছরই প্রকাশিত হয় আমার দ্বিতীয় বই, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল লক্ষন সিংয়ের একাত্তরে বাংলাদেশের রণাঙ্গনে অভিজ্ঞতালব্ধ বই ‘ভিক্টরি ইন বাংলাদেশ’ অবলম্বনে ‘একাত্তরের বিজয়’। এর দু’বছরের মাথায় পাই প্রিয় বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য পদ। লেখক হিসেবে আমার ক্যারিয়ারের আপাত যবনিকাপাত এখানেই।
ঢাকায় ফিরে এসে প্রথমে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ভর্তি, তারপর কোর্স শেষ করা আর কোর্স শেষ করার পর ক্যারিয়ারের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যে গড্ডালিকা প্রবাহ, তাতে আর দশজনের মতই ভেসেছি তখন। জীবনের একমাত্র আরদ্ধই তখন ছিল একটি চালু চেম্বারের অধীশ্বর হওয়া। বিষয়টা চরম অপছন্দের ছিল প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিল ভাইয়ের কাছে। চরপাড়া (ময়মনসিংহ) মেডিকেলের ছাত্র হিসেবে বাগমারার (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের বয়েজ হোস্টেলটি ঐ এলাকায় অবস্থিত) উদীয়মান ছাত্রলীগ নেতা শাকিল ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম পরিচয় আর তারপর মাখামাখিটা ১৯৮৮ সাল থেকেই। মাঝেসাঝে আড্ডায় বসে যখনই কোন আতলামো কপচানোর চেষ্টা করেছি তখনই বলতেন, ‘লিখে ফেল’। ‘ছাপবে কে?’ জানতে চাইলে বলতেন, ‘ওটা আমার দায়িত্ব’।
Advertisement
জীবিত শাকিল ভাইকে এই একটা বিষয়েই শুধু পাশ কাটিয়ে গিয়েছি। হয়তোবা এক ধরনের অনুশোচনাবোধ থেকেই আবারো কলম ধরেছি শাকিল ভাইয়ের মৃত্যুর পর। আর লেখক হিসেবে আমার পুনঃজন্মের প্রথম বছরেরর এলেবেলে লেখাগুলো ‘সেকাল একালের কড়চা’ নামে মলাটবন্দী করার পুরোটা কৃতিত্ব মাওলা ব্রাদার্সের মুখচোরা মাহমুদ ভাই আর অতি তৎপর মামুন ভাইয়ের।
এই দুজনের চরিত্রের যে আপাত অমিল, বই আর বইয়ের লেখকদের প্রতি ভেজালহীন ভালোবাসায় তাদের মিল ঠিক ততটুকুই । এই ভালোবাসার সূত্র ধরেই এবারের বই মেলায় মাওলা ব্রাদার্স থেকেই প্রকাশিত হয়েছে আমার পঞ্চম বই ‘এখন সময় বাংলাদেশের’। মাঝে আমার চতুর্থ বই ‘লিভার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা’ বলতে গেলে প্রায় ঠেলে ঠুলে বাধ্য করে শেষ করে গত বছরের বই মেলায় ছাপিয়ে ছিলেন মুক্তধারার প্রিয় জওহরলাল সাহা কাকা।
লেখালেখিতে ছেদ পরেনি সেই থেকে এখন অব্দি। লিখছি নিয়মিত, ছাপাও হচ্ছে সেসব। ছাপছেন জাগো নিউজ, বিডি নিউজ, সারাবাংলা, দৈনিক জনকণ্ঠ আর দৈনিক ইত্তেফাকের কলাম সম্পাদকেরা বিরাট উদারতায়। লেখার মানের জন্য নয়, বরং আলোচনায় এসেছি লেখার সংখ্যার জন্য। কে লিখে দেয়, কিভাবে লিখেন, কবে থেকে লিখেন জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলেছি আজও। রহস্যময় হাসি পেয়েছি প্রত্যুত্তরে। বলতে পারিনি যে লিখি ঢাকার জ্যামে গাড়িতে বসে, বিমানে আর গভীর রাতে ক্লান্ত শরীরে চেম্বার থেকে ফিরে কাপড়-চোপড় না ছেড়েই।
নব্বইয়ের দশকের সেই উত্তাল দিনগুলোর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের করিডোরে আর বাগমারা হোস্টেলের ক্যান্টিনে কিংবা মাসুদ ভাইয়ের মুদির দোকানে অথবা চরপাড়ায় লিটনের ছাপড়া রেস্টুরেন্টে কাছাকাছি এসেছি অনেকেই। কেউ সহপাঠি, কেউ সিনিয়ার আবার কেউবা জুনিয়ার। দুই যুগেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে অনেকের সাথে যোগাযোগ আজ প্রায় শুন্য, আবার কেউ কেউ এমনও আছেন যাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা ঘনিষ্ঠতর হয়েছে। সেদিনের কেউ আজ প্রাকৃতিক ভাইয়ের অবর্তমানে তার চেয়েও বেশি, কেউ কেউ আবার আমার প্রয়াত বাবার অবর্তমানে সেই শূন্যস্থান পূরণে উদ্যত।
এই সংক্ষিপ্ততম তালিকায় আছেন অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া আর ডা. মুরাদ হাসানরা। বই মেলাকে ঘিরে যে মিষ্টি অনুভূতিগুলো, সেগুলো সাদা কালোয় লিখতে বসে হঠাৎ এই প্রসঙ্গ টেনে আনার কারণ একটাই। আমার প্রত্যাশা ছিল এবারের বইটির মোড়ক উন্মোচনে আর বাকিদের সাথে থাকবেন এই দুজনও। পেরেছেন মাননীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, পারেননি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক উত্তম কুমরা বড়ুয়া। হাসপাতালটিতে এর ঠিক আগে আগে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার ক্ষত সাড়াতে ব্যস্ত ছিলেন হাসপাতালটির এই বাড়াবাড়ি রকমের সিরিয়াস পরিচালক ভদ্রলোক।
‘একটা কম এক ডজন’ - সঙ্গত কারণেই মোড়ক উন্মোচনের দিন আমার এড্রেনালিনের পারদটা ছিল উপর দিকেই। অথচ আমার এই ‘একটা কম এক ডজনতম’ বইটির মোড়ক উন্মোচন আমার কাছে কেমন যেন পানসে হয়ে রয়ে গেল। আজকের মাননীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথম পা রাখা নব্বই দশকের শুরুর দিকের অন্ধকার সময়টায়। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রিয় বন্ধুরা তাদের স্থানীয় ক্যাডার আর পুলিশ বন্ধুদের বাড়ানো হাতের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে এদেশের আরো অনেক ক্যাম্পাসের মতই সে সময়টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসেও ছাত্রলীগকে প্রায় একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের কাতারে নামিয়ে এনেছিলেন।
বাগমারা থেকে নির্বাসিত আমাদের আখড়া তখন ব্রাহ্মপল্লী, রুটিওয়ালা পাড়া, ভাটিকাশর আর পাটগুদামের ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে। এমনি পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে এসে আজকের ডা. মুরাদ সেদিন নিজ আগ্রহেই আমাদের খুঁজে নিয়েছিলেন। সক্রিয় হয়েছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। মেডিকেল ছাত্রলীগের সভাপতির খুবই ভারি দায়িত্বটাও কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। পরে জেনেছি তার প্রয়াত পিতা জনাব মতিউর রহমান তালুকদার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। ছিলেন জামালপুরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আর জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সাংসদও।
ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে ডা. মুরাদ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ছাত্রদলের বন্ধুদের রামদার কোপে খসে পড়া তার ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলটি স্যালাইন ব্যাগে ঢাকায় এনে সফল ভাবে জোড়া দেয়ার চাক্ষুস সাক্ষী আমি। এরপর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দু’দুবার তাদের একদা দুর্গে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। নির্বাচিত সাংসদ থাকা অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে ক্যান্সার রোগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনও শেষ করেছেন।
এতগুলো বছর, এতগুলো ঘটনা - ডা. মুরাদের সাথে আমার ব্যক্তিসম্পর্ক গভীরতরই হয়েছে শুধু। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের করিডোর ছাড়িয়ে যার ব্যাপ্তি আর গভীরতা এখন অনেক বেশি। তিন বছর আগে আমার প্রয়াত পিতার মৃত্যুর দিনে তাকে পাশে পেয়েছি সার্বক্ষণিক। সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তার নিয়োগপ্রাপ্তির সুসংবাদটিও তার মুখ থেকেই পেয়েছি অনেকের চেয়ে অনেক আগেই। গত বইমেলায় প্রকাশিত আমার বই দুটোর মোড়ক উন্মোচনে তিনি আসতে পারেননি নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক ব্যস্ততার জন্য। এবার বই বের হচ্ছে শুনে নিজেই বললেন আসবেন। আসলেনও । আসলেন পায়ে হেঁটে আমার বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের উৎসবে শরিক হতে। থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার তাড়া ছিল। মোড়ক উন্মোচনস্থল থেকে বের হতেই দেখলাম তার সরকারি গাড়িটি পাশেই পার্ক করা। তখনও বুঝিনি ব্যাপারটা। সরল মনেই বললাম গাড়িতে উঠতে। প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘সবাই হেঁটে যাচ্ছে, আমি গাড়িতে যেতে পারিনা, হেঁটেই যাবো’।
নিজ সরকারি চালককেও ভৎর্সনা করলেন অতি উৎসাহী হয়ে মেলা প্রাঙ্গণে গাড়িটি প্রবেশ করানোর জন্য। আমার ‘এক ডজনের এক বছর কম বয়সী’ ডা. মুরাদ হাসানের প্রতি শ্রদ্ধায় আনমনেই অবনত হলাম আরেকবার। সত্যিকারের জননেতার মতই কথা। অথচ তখনও বুঝিনি এই সামান্য ঘটনাটিকে রঙচঙে রঙিন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার বিষয় বস্তুতে পরিণত করবেন কেউ কেউ।
এসব লেখালেখি আমাকে ব্যথিত করেছে। আমি বিশ্বাস করি, এই দেশ আর দলকে তার প্রয়াত পিতার মতই ভবিষ্যতে তিনিও সমৃদ্ধ করবেন অনেকখানি । ভিটামিন-এ ক্যাপসুলে সমস্যার কথা শুনে যে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ছুটে গেছেন কিশোরগঞ্জে আর সবচেয়ে বড় কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে খুঁজে বের করে স্থান দিয়েছেন নিজ মন্ত্রিসভায়, দোষ না করেও তার এই দোষী হওয়া, আমার স্বপ্নের দিনটিকে বড় বেশি সাদাকালো করে দিয়েছে।
হঠাৎ আবারো থেমেছে কলম। এরপর লিখিনি একটি কলামও। লেখক হিসেবে আবারো যবনিকার হাতছানি দেখছি যখন, হঠাৎ গা ঝাড়া দিয়ে লিখতে বসা। সঙ্গত কারণেই লেখার বিষয়বস্তুটা হয়তো কিছুটা ভিন্ন, কিন্তু তা আমার খুবই হৃদয় ঘনিষ্ট।
লেখক : অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
এইচআর/পিআর