আসন্ন পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হলফনামায় নিজেকে এমবিবিএস ডিগ্রিধারী দাবি করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক তিমির বরণ চৌধুরী। অথচ এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছিলেন উচ্চমাধ্যমিক পাস।
Advertisement
সোমবার বিকেলে এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগের শুনানি শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার তিবরিজী ওই আওয়ামী লীগ নেতার মনোনয়ন বাতিল করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তিমির বরণ চৌধুরী এক সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন। তাকে কলেজ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউএসটিসিতে ভর্তি হন। সেখান থেকেও তাকে ১৯৯০ সালে বহিষ্কার করা হয়। ফলে তার এমবিবিএস চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। এরপর তিনি কখনো নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক, কখনো রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। যদিও তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা প্রশাসনের আপিল বিভাগে অভিযোগ তোলা শাহাবউদ্দিন জানান, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল জালিয়াতির অপরাধে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আজীবনের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল হয় তিমির বরণ চৌধুরীর। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভুয়া ভর্তি দেখিয়ে ইউএসটিসিতে সেই ভর্তি ট্রান্সফার করেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভুয়া ভর্তির বিষয়টি জানাজানি হলে ১৯৯০ সালে ইউএসটিসি থেকে তিনি বহিষ্কৃত হন। বাস্তবে তিনি এমবিবিএস পাস না করেও এমবিবিএস পাস উল্লেখ করেন হলফনামায় এবং এ-সংক্রান্ত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) একটি জাল প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করেন। সোমবার শুনানিতে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তিমির বরণ চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ।
Advertisement
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার তিবরীজি বলেন, ‘হলফনামায় এমবিবিএস পাস উল্লেখ করলেও তিমির বরণ চৌধুরী এর সপক্ষে বৈধ কোনো কাগজ দিতে পারেননি। তাই ওই ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।’
এসআর/এমকেএইচ