বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ৯৫ জন নন-ক্যাডার প্রকৌশলীকে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ দেয়া সংক্রান্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (স্থানীয় সরকার বিভাগ) গেজেটের কার্যক্রম চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (স্থানীয় সরকার বিভাগ) থেকে গত ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেটটির বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেন আদালত। মন্ত্রণালয়ের (স্থানীয় সরকার বিভাগ) সচিবসহ চারজন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সোমবার রিটকারীদের আইনজীবী অনিক আর হক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই দেন।
এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (স্থানীয় সরকার বিভাগ) কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়, ‘গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইঞ্জিনিয়ারিং: পাবলিক হেলথ) কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুলস ১৯৮০ তফসিল সংশোধন করে ক্যাডার সংখ্যা ১৩৬ থেকে ৩২৯ -এ উন্নীত করা হয়। ক্যাডার তফসিল সংশোধনের সময় ক্যাডারের আওতায় সৃজন করা পদে কর্মরত স্থায়ী ও নিয়মিত ৯৫ জন কর্মকর্তাকে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় কর্তৃক পাঠানো সুপারিশ এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের ৯৫ জন কর্মকর্তাকে রাজস্ব বাজেটে পদায়ন/যোগদানের তারিখ বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।’
Advertisement
কিন্তু ওই গেজেটটি সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কিছুই অবহিত নয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই পদন্নোতির গেজেটের বৈধতা প্রশ্নে মো. শফিকুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট ২১ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন।
এফএইচ/বিএ